ইতালিতে বাংলাদেশির রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
ইতালির রোমে মাজাহারুল হক নয়ন নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে না জানিয়ে সেখানেই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
নিহতের পরিবার একে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। একই সাথে হত্যার বিচার দাবি করেছে পরিবারটি।
নিহতের মেয়ে মাশরুফা হক নোভা নিজের ফেসবুক পেজে জানান, আমার বাবা মাজাহারুল হক (নয়ন) ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যান। এর আগে ৩ নভেম্বর তার সংগৃহিত করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। পরে ১১ নভেম্বর ইতালিতে বাবার এক কাছের বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি তিনি ইতালি সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। তারা মৃত্যুর কারণ বলেছে, হার্ট এটাক করে এবং তারা বলেছে- তার করোনা পজিটিভ থাকতে পারে।
মেয়ে মাশরুফা হক নোভা বলেন, আমার বাবা ১০ নভেম্বর আমাদের সাথে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে ভিডিও কলে কথা বলেছেন। প্রায় ১ ঘন্টা কথা বললেও তিনি করোনার উপসর্গেরও কথা জানাননি। তার করোনার মিনিমাম সিমটটমও ছিল না।
মৃত্যুর আগে আমার বাবার সাথে তার বিজনেস পার্টনারের কথা কাটাকাটি হয় এবং বিজনেস পার্টনার তাকে সরাসরি মেরে ফেলার হুমকি দেন।তিনি আরও জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা লাশ দেশে আনার জন্য তার বন্ধুদের এবং বিজনেস পার্টনারকে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের আশ্বাসও দিয়েছিল মরদেহ দেশে পাঠাবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা আমাদের অনুমতি ছাড়া লাশ সেখানে দাফন করে। পরে তারা বাবার কবরের ছবি পাঠিয়েছে, কিন্তু এর আগে তারা আমাদের কিছুই জানায়নি।
আমরা কোনভাবেই তাদের অনুমতি লাশ দাফনের অনুমতি দেইনি। তার মৃত্যুর আসল কারণটা কি আমরা সেটাও জানতে পারিনি! তার মৃত্যুটি খুবই রহস্যজনক!
ফেসবুক স্টাটাসে মেয়ে মাশরুফা হক নোভা আরও লিখেন, তার বাবার মৃত্যুর কোন প্রকার ডকুমেন্ট যথা- Death certificate, করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ সেই report, কিংবা Heart attack report এমন কোন প্রকার তথ্য আমরা পাইনি। তাই আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলব- যারা আমার বাবার প্রতি অবিচার করেছে তাদের শাস্তি কামনা করি।
আপনারা সকলেই দেখেছেন আমরা বাবাকে কোথায় কিভাবে দাফন করা হয়েছে, একজন মুসলমান হিসেবে আমি এবং আমার পরিবার কখনো কি এটা মেনে নিতে পারি? আপনাদের সকলের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্নটি রইল!!
মরহুমের মেয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিচে
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=791114098404714&id=100025183930149
(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/এলএ)