বাড়া ভাতে ছাই আর পাকা ধানে মই
আমরা যদি পথের ছেলেকে বুকের পাঁজরে জড়াই
আমরা যদি শৈবাল ধরা পাথর নুড়িকে গড়াই।
রোজেনারা যদি হয় আমাদের প্রেম বিনোদিনী রাই,
ভালোবেসে যদি সকিনার গলায় মুক্তোর মালা পরাই।
সৈকতে থেকে কুড়ানো শঙ্খে মায়ের নোলক গড়াই,
লঙ্গরখানাকে বানালে ভূখার নিত্যদিনের সরাই;
কার বাড়া ভাতে ছাই পড়ে আর কার পাকা ধানে মই?
এসো সেই কথা কই।
আমরা যদি কন্ঠে কন্ঠে স্লোগানের আগুন ধরাই,
বস্তির নাঙ্গা শিশুদের যদি অ-আ-ক-খ পড়াই।
তাদের মনের কোণে কোণে যদি স্বপ্নের আলো ছড়াই,
আমাদের সাথে ভাব করে যদি বাবুই দোয়েল চড়াই।
ঠেলাঅলাদের নেতা সেজে যদি করি নেতাগিরি বড়াই,
ফুটপাতে শোওয়া ভিখেরির দু:খে মমতার অশ্রু ঝড়াই।
জলসা ঘরের নাচের ভিটিতে খোশদিলে ঘুঘু চড়াই;
কার বাড়া ভাতে ছাই পড়ে আর কার পাকা ধানে মই?
এসো সেই কথা কই।
যদি চিকা মেরে অট্টালিকার দেয়ালের দেহ ভরাই,
লুটেরার সাথে দিনের আলোতে বাঁধাই ভীষণ লড়াই,
দুধ খেয়ে মুখ পোড়া গেছে বলে দই মুখে নিতে ডরাই,
হালভাঙ্গা মাঝির তরীটাকে যদি নদীর তীরেতে তরাই,
খুনির মাথার খুলিকে বানাই পিচ গলানোর কড়াই,
যদি সমাজের ভেদ-জঞ্জাল একতার ঘায়ে সরাই,
কার বাড়া ভাতে ছাই পড়ে আর কার পাকা ধানে মই?
এসো সেই কথা কই।