দুই বছর দাঁত মাজেন না, তবুও ঝকঝকে দাঁত

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২০, ১১:২৮

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! টানা দুই বছর ধরে দাঁত মাজেন না তারা। কিন্তু তারপরও তাদের দাঁত ঝকঝকে। এসবই সম্ভব হয়েছে ভিন্ন জীবনধারার কারণে। 

পোল্যান্ডের ওয়ারশার বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী টিনা স্টোক্লোসা প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রাক ক্রিসমাসের সময় নিজেকে শুদ্ধ করতে ফলাহার শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ফলাহারের প্রতি। আর শেষ দুইবছর তো অন্য সব খাবার ছেড়ে দিয়ে শুধু ফলমূল খেয়েই আছেন। আর এরই জন্য তিনি বালিতে এসে থাকতেও শুরু করেন।

তিনি জানান, এই ফলমূল খেয়ে থাকার মধ্যে দিয়েই তিনি খুঁজে পেছেন নতুন এক জীবন। জীবনে তারুণ্য ফিরে পেয়েছেন তিনি।  ইউকেতে থাকার সময় টিনার ওজন বেড়ে গেছিল অনেক। তবে বর্তমানে নিজের ডায়েটে শুধুমাত্র ফল রাখার কারণে তার ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওজন ৮২ কেজি থেকে কমিয়ে ৫০কেজিতে নিয়ে এসেছেন টিনা

টিনার হবু বর ২৬ বছরের সাইমনও এ ব্যাপারে টিনার পাশেই রয়েছেন। বেলজিয়ামের বাসিন্দার সাইমনই বালিতে এসে এই ফল ডায়েটের ব্যাপারটা খুঁজে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে জানান নিজের সঙ্গী টিনাকে। বর্তমানে এই দম্পতি দিনে ২০০০ থেকে ৪০০০ ক্যালোরির ফল খান বলে জানিয়েছেন।

পানি ছাড়া একটা দিন থাকতে পারবেন? বা কয়েকঘণ্টা? আমরা যা ভাবতেও পারি না, তা এই দম্পতি করে দেখাচ্ছেন। তারা তেষ্টা মেটাতে নারিকেলের পানি ছাড়া এমনি পানি খান না। 

এই কথা প্রসঙ্গেই তারা জানান যে দীর্ঘ তিনবছর যাবৎ তারা দাঁত মাজেননি। ফলের ফাইবারেই তাদের দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়। আর এই ফলের ডায়েটই নাকি তাঁদের হতাশা, মানসিক অবসাদ আর অনান্য রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

টিনা আর কোনও দিন পুরোনো ডায়েটে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,নিজের ডায়েটে শুধু ফল খাবার অভ্যেসটা আমার অনেক উপকার করেছে। আমাকে জীবন সম্পর্কে আশাবাদী করে তুলছে। মনে হচ্ছে আমি যেন সবকিছুরই প্রেমে পড়ছি। এটা আমার মানসিক স্থিতিশীলতা অনেকটা বাড়িয়েছে।

ফলাহারের অনেক উপকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন এই দম্পতি। হজম শক্তি বাড়ানো, ধৈর্য বাড়ানো, ত্বকের হারানো জৌলুসকে ফিরিয়ে ইত্যাদি বহু উপকারিতা রয়েছে ফলমূলের।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এজেড)