বেশি টাকা দিয়েও ভূমি অফিসের সেবা পেতে ভোগান্তি

জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
| আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৫:২৪ | প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৫৩

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে নির্ধারিত টাকার বেশি টাকা দিয়েও সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমি মালিকরা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, খাজনা, খারিজ, নামজারীসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজে যথাসময়ে কাজ না হওয়াসহ নানা অনিয়মে হয়রানিতে পড়ছেন উপজেলাবাসী।

সৈয়দপুর ইসলামী ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার সেকেন্দার আলী জানান, তিনি তার জমির নামজারির জন্য তার পূর্ব পরিচিত উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সাইদের শরণাপন্ন হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি (সাইদ) চার হাজার টাকার বিনিময়ে কাজটি দ্রুত করে দেয়ার আশ্বাস দেন। চাকরির ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে না পারায় তিনি সাইদকে টাকা ও কাগজ বুঝিয়ে দেন। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস পেরিয়ে গেলেও সাইদ নামজারির কাজ সম্পন্ন করে দেননি। ফলে তিনি চাপ দেয়ায় সাইদ এখন তাকে জানান, তার দেয়া ওয়ারিশান সনদটির মেয়াদ তিন মাস পার হয়ে যাওয়ায় আবারও নতুন করে ওয়ারিশান সনদ দিতে হবে। এতে তিনি চরম বেকায়দায় পড়েছেন। একদিকে নামজারির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এক হাজার ১৫০ টাকা ও ফরম বাবদ ২০ টাকার স্থলে প্রায় তিন গুণ বেশি টাকা দেয়ার পরও তার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করাও যেমন সম্ভব হয়নি, তেমনি কাজ না হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা। সেইসঙ্গে একই কাজ বার বার করার হয়রানি।

অভিযোগ রয়েছে, আবু সাইদসহ অন্যান্য কর্মচারীরাও ভূমি অফিসে আসা ব্যক্তিদের কাজ করে দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে তাদের হয়রানি করে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাদের এই তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীরা আরও বেশি জটিলতায় পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় ভোগান্তির শিকার হয়েও কারও কাছে অভিযোগ দিতে বা মুখ খুলতে ভয় পান। এই সুযোগে আবু সাইদরা দিনের পর দিন তাদের তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারছে। অনেকের প্রশ্ন এই আবু সাইদরা কিসের জোড়ে এমন কর্ম করে যাচ্ছেন। তাদের খুঁটির জোড় কোথায়?

এ বিষয়ে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আবু সাইদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সেকেন্দার আলী তার কাগজপত্র আমাকে জমা দিয়ে গেছেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তার কাজটি আজও হয়নি। তার ওয়ারিশান সার্টিফিকেটটির তিন মাস মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দিলে দ্রুতই নামজারি করে দেয়া হবে।

টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গেলে তো কিছু টাকা নিতেই হয়। তবে সেকেন্দার আলী যে চার হাজার টাকা বলেছেন, তা সঠিক নয়।’

এদিকে এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম বলেন, ‘আমার অফিসে সিসি ক্যামেরারও প্রয়োজন নেই। আমার অধীনস্তদের তদারকির জন্য আমি নিজেই সিসি ক্যামেরা। এখানে কোন ধরণের অনিয়ম হলে অবশ্যই আমার নজরদারিতে আসবে। অনেক ধরণের কথাই আমি শুনি, কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :