শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকা থেকে ইটভাটা সরাতে আরও সময় চান মালিকরা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২০, ২২:০১ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০, ২২:০৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ইটভাটা সরাতে আরও কিছুদিন সময় চান মালিকরা। এ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইটভাটা মালিকরা। এতে জেলার সকল ইটভাটার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইটভাটা থেকে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্বও পেয়ে থাকে। এছাড়া আবাসান, দেশের অবকাঠামো খাত ও বেকার সমস্যা লাঘবে ইটভাটার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকার দেশের পরিবেশগত অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। আমরা ইটভাটা মালিকরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই ইটভাটা ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছর আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ইটভাটা স্থানান্তর করতে পারিনি। কারণ হলো-করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে নতুন জায়গা কেনা বা ভাড়া নেয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। প্রতিটি ইটভাটাতেই দুই-তিন কোটি টাকা করে বিনিয়োগ রয়েছে। আর বিনিয়োগকৃত এসব টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া।

ইটভাটা স্থানান্তরে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে আজিজুল হক বলেন, এখন ইটভাটা স্থানান্তর করতে গেলে আমরা আর্থিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। ব্যাংকের দেনা শোধ করতে পারব না। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী ইট প্রস্তুত না হলে আবাসন এবং সরকারের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত খাতে ইট সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে। এতে করে আবাসন এবং অবকাঠামো খাতে ব্যয় বেড়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজয়নগর উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মুকুল ও ইটভাটা মালিক আমজাদ হোসেন রনি উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এলএ)