প্রকৃতি প্রতিশোধ নেয়: মিমি
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২০, ১০:০৭ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০, ১১:২৭
করোনার পর শুটিংয়ে ফিরেছিলেন। কালীপূজার কারণে আবারও বেশ কয়েকদিন বিরতি। সেই সময় মন চাঙ্গা করতে কাজে লাগাচ্ছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নিজের শহর জলপাইগুড়িতে গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিশেছেন। জানিয়েছেন প্রকৃতিকে আঘাত দিলে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেয়।
সম্প্রতি নিজের শহরের একটি ফাঁকা সড়ক পথের উপর আপন খেয়ালে বসে থাকতে দেখা যায় মিমিকে। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন নিজেই।
এবার তিনি বাড়ি থেকে ৩০ কিমি দূরে, পাহাড়ি নদীর তীরে। সারাটা পথ ছোট-বড় নুড়ি পাথর বিছানো। তার উপরেই মিমি যেন পাগলাঝোরা। কখনও হাঁটছেন, কখনও দৌড়াচ্ছেন! পরনে মভ রঙা প্যান্ট, টপ। গন্তব্যে পৌঁছে সেটাকেই গুটিয়ে নিয়েছেন হাঁটু পর্যন্ত। ছেলেবেলার মতোই প্রায় লাফাতে লাফাতে নেমে পড়েছেন পানিতে।
কাচের মতো স্বচ্ছ্ব পানি ভেঙে কখনও এগিয়েছেন মাঝনদী পর্যন্ত। একই সঙ্গে মনে করেছেন বিভিন্ন ঋতুতে নদীর বিভিন্ন রূপ। শীতে যে নদী শীর্ণকায়া, বর্ষাতেই সে ভয়ঙ্করী! মিমির কথায়, ‘তবু এখানে এলেই ফিরে পাই হারানো ছেলেবেলা। প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারি বিশুদ্ধ বাতাসে।’
পিকনিক করতে আসা মানুষের দল কী উপহার রেখে যায় প্রকৃতির জন্য? সাংসদের ক্ষোভ, ‘আবর্জনা ফেলে যান নদীর জলে, আশপাশে। বিয়ারের ক্যান, থার্মোকলের থালা, বাটি, প্লাস্টিকের গ্লাস আরও কত কী! একবার ভাবি না, এগুলো জলে মিশে হয়ে কতটা বিষাক্ত করছে পরিবেশ।’
মিমির উপলব্ধি, ‘প্রকৃতিকে আঘাত করলে বুমেরাং হয়ে তা ফেরে। মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে আসুন, আমরা সবাই মিলে বাঁচি।’
ঢাকা টাইমস/২১নভেম্বর/একে