নারীবাদ আজকের বাংলাদেশে পুরুষের হাত ধরেই কন্টক পথ পার করেছে
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮
চলে গেল আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে যোগ্যতর হতে পুরুষকে উৎসাহিত করা, এসব উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, “Better Health for Men and Boys”।
বেশ ক’বছর ধরে বেশিরভাগ নারীবাদী নারী এবং পুরুষরা পুরুষদিবসকে টয়লেট দিবসের সাথে মিলিয়ে ট্রোল করছেন, সেটাই দেখে আসছিলাম। আমি জ্ঞানত এই ট্রোলে অংশগ্রহণ করিনি, এটি ভাবলে আমার ভালো লাগে। কখনও যদি করে থাকি তবে নিজের বাতুলতার জন্য লজ্জিত।
নারীবাদ আজকের বাংলাদেশে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে প্রচুর পুরুষ নারীর হাতে হাত ধরে কন্টক পথ পার করেছে। পুরুষ নারীকে নিয়ে ভেবেছে, নারীর সাথে লড়াই করেছে, নারীকে পাবলিক ডোমেইনে নির্বিঘ্ন করতে প্রচুর পুরুষ প্রাইভেট ডোমেইনে ঢুকেছে। নারীর প্রতি যেকোনো বৈষম্য ও সহিংসতার পথে বাধা দাঁড়িয়েছে এমন পুরুষ আমার পাশেই শতজন আছে।
এবং দিন শেষে পুরুষও পুরুষতন্ত্রের বিধিবিধানের কাছে নিপীড়িত হয়, পুরুষেরও সামাজিক মানসিক সমস্যা আছে, পুরুষের সাথেও ডোমেস্টিক এ্যাবিউজের ঘটনা ঘটে, পুরুষও কাঁদে এবং পুরুষ এসব কথা কাউকে বলতে পারে না। এবং সারা বিশ্বে আত্মহত্যাকারীদের ৭৬ শতাংশই পুরুষ, এই সত্য এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তো, পুরুষকে সবখানে ইচিং করে, পুরুষকে যেকোনো ছুতোয় বাধ্যতামূলক প্রতিপক্ষ বানিয়ে, পুরুষ যেভাবে নারীকে নির্যাতন করে, নারীদেরও তেমন করেই প্রতিটি নিপীড়ন নির্যাতন ফেরত দেওয়া উচিত, এসব অবস্থানে থেকে নারীবাদ কতটুকু ফায়দা পাবে তা জানি না, তবে লড়াইটা কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হবে এবং সেই ফায়দাটা পুরুষতন্ত্রের ঘরে যাবে ইচিংবাদীদের কল্যাণে এটা নিশ্চিত। জগতের সকল মঙ্গলময় পুরুষের জন্য। লিঙ্গ রাজনীতির চোরাগলি পেরিয়ে মানুষ হয়ে উঠুক সকল পুরুষ।
লেখক: কলামিস্ট
ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/এসকেএস