‘বেগম পাড়ায়’ টাকা পাচারকারীদের সঠিক তথ্য নেই: দুদক কমিশনার
বাংলাদেশের কতজন অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা নিয়ে ‘বেগম পাড়া’ খ্যাত কানাডার টরেন্টোতে পাড়ি জমিয়েছেন তার সঠিক তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। তবে দেশটিতে টাকা প্রেরণকারীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে দুদক তা তদন্ত করে উদঘাটন করবে বলে জানান তিনি।
শনিবার দুদকের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মোজাম্মেল হক খান।
অনুষ্ঠানে কমিশনার মোজাম্মেল আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানি, স্বামী বাংলাদেশে থাকেন, বউ কানাডায়। তবে দেশ থেকে অবৈধভাবে স্বামী উপার্জিত টাকা পাঠান সেদেশে থাকা বউয়ের কাছে। দেশের পাচার করা টাকা বেগমদের কাছে রাখেন।
জানা যায়, বিপুল সংখ্যক টাকা দেশ থেকে পাচার করে অনেকে কানাডার ‘বেগম পাড়ায়’ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। অনেকে দেশে থাকলেও স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য সেখানে নিরাপদ বসতি গড়েছেন। সম্প্রতি সেখানে বসতি গড়েছেন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করে পলাতক আলোচিত পি কে হালদারও।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কানাডায় টরেন্টোর ‘বেগম পাড়ার’ কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাজনীতিবিদদের থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা বেশি টাকা পাচার করছেন। সরকারের অনেক আমলারও বাড়ি আছে বেগম পাড়ায়। অনেক সরকারি কর্মচারীদেরও বাড়িঘর আছে ওখানে। থাকেন ছেলে মেয়েরাও। বাংলাদেশিদের স্থায়ী হওয়ার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেট।
দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই কত সংখ্যক মানুষ অবৈধ উপার্জিত টাকা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন। এই ধরনের কোনো তথ্য পেলেই আমরা তা উদঘাটন করব।(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/এসআর/বিইউ)