ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে আখরোট

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২০, ১২:০৯

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আখরোট একপ্রকার বাদাম জাতীয় ফল যার মধ্যে পুষ্টিগুণ ভরপুর। আখরোট গাছের বৈজ্ঞানিক নাম যুগলান্স রেজিয়া। এই ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি আসিড আছে। এই ফলটি গোলাকার এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোলসযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়; এই খোলসের ভেতরে থাকে দুইভাগে বিভক্ত বাদাম যাতে বাদামি রঙের আবরন থাকে যা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈলাক্ত বীজকে বাতাসের অক্সিজেন থেকে রক্ষা করে ফলে তা খাওয়ার উপযোগী থাকে

শরীরের হাজারও সমস্যা দূরে রাখতে চিকিৎসকরা আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, আখরোটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই কিছু নিত্য সমস্যারও সমাধান করে। অনেকেই জানেন না যে, আখরোটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা যা শরীরকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই কিছু নিত্য সমস্যারও সমাধান করে। যে-কোনও প্রকারে বাদামের মধ্যে আখরোটে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝঁকি কম করে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩, যা খারাপ কোলেস্টরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। শরীরে ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র্যা ডিক্যালস হার্টের উপর চাপ ফেলে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যে মহিলারা সপ্তাহে অন্তত পাঁচবার ৩০ গ্রাম করে আখরোট খান, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এই সমীক্ষা করেছে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ। ডাক্তারদের বক্তব্য, দেখা গিয়েছে আখরোট খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে এবং ব্লাড ভেসেলের নমনীয়তা বেড়ে যায়।

দেশ-বিদেশের নানা গবেষণা ও ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব রিসার্চ ইন মেডিক্যাল সায়েন্স’-এর করা একটি সমীক্ষার মতে, হৃদরোগ ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে আমন্ড ও আখরোটের। অন্য ড্রাই ফ্রুটের তুলনায় এই দুই বাদাম জাতীয় ফল হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারী। যে-কোনও প্রকারে বাদামের মধ্যে আখরোটে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যা ডিকেলকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কম করে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩, যা খারাপ কোলেস্টরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হলে বা অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের সঙ্গে লড়তে চাইলে ওষুধপত্রের সঙ্গে পাতে রাখুন আখরোট। এই ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী। ইদানীং সহজ খাবারগুলিই আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী হয়ে উঠছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন খান আখরোট। আখরোটে থাকা গামা, টোকোফেরল, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ইলেজিক-গ্যালিক অ্যাসিড শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে, যা চামড়াকে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। বলা হয় ভিটামিন বি হল স্ট্রেস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। স্ট্রেস কম থাকলে আপনার চামড়া উজ্জ্বল হবে।

চিকিৎসকরা বলেন যে, যে-কেনও ধরনের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত যারা নিয়মিত আখরোট খান তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, যে মহিলারা সপ্তাহে অন্তত পাঁচবার ৩০ গ্রাম করে আখরোট খান, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

(ঢাকাটাইমস/২২ নভেম্বর/আরজেড/এজেড)