অপারেশনের টেবিলে রোগী রেখে পালালেন চিকিৎসক!

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২০, ২১:০০

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন টেবিলে রোগী রেখে পালালেন আহম্মেদ কামাল তুষার নামে এক চিকিৎসক। রবিবার দুপুরে উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে ‘স্লোব বাংলাদেশ’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

রোগীর নাম খাদিজা বেগম (৪০)। তিনি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের জেলে সহিদুল ইসলাম সিকদারের স্ত্রী। রোগীর অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, পাঁচ সন্তানের জননী খাদিজা বেগম গত কয়েক দিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। তার স্বামী শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে স্লোব বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান ওই গৃহবধূর পেটে টিউমার হয়েছে, যা অপারেশন করতে হবে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে গৃহবধূ খাদিজা বেগমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক আহম্মেদ কামাল তুষার রোগীর অপারেশন করতে গিয়ে এক পর্যায়ে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় তিনি রোগীকে ফেলে পালিয়ে যান। এরপর হাসপাতালের কয়েকজন নার্স খাদিজার পেট সেলাই করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানা যায়, রোগীর টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে নিতম্ব থেকে জরায়ু পর্যন্ত কেটে ফেলেন। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে অপারেশ থিয়েটারে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আহম্মেদ কামাল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই গৃহবধূর অবস্থা শঙ্কাটাপন্ন ছিল।

ওই গৃহবধূর নিকটাত্মীয় জালাল আহম্মেদ জানান, খাদিজা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি তীব্র ব্যথায় কাতারেচ্ছেন। স্লোব হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক আহম্মেদ কামাল তুষার বলেন, রোগীর জরায়ু কাটেনি। যদি জরায়ু কেটে থাকে, তাহলে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করলেই ধরা পড়বে। রোগীর পেটের সামান্য কেটে যখন দেখি তার অবস্থা ভালো না, তখন আমি উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসি। আমি পালিয়ে আসিনি।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এলএ)