ঝালকাঠির রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস কাল

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২০, ২১:৩০

ঝালকাঠির রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস সোমবার (২৩ নভেম্বর) । ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাকহানাদার মুক্ত হয়। বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে উড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ১৪ নভেম্বরের পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস।

তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় দোসর হানাদাররা। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানা আক্রমণ করেন। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রায় তিনশত বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে বিশজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

ওই সময় মুক্তিযুদ্ধে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব-সেক্টরের অধীনে। সাব-সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন এম. শাহজাহান ওমর। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখযুদ্ধ শুরু হলে শাহজাহান ওমর এ যুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি জেলায় একমাত্র বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

প্রতি বছরের ন্যায় রাজাপুর প্রেসক্লাব এ বছরও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজাপুর হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করবে।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :