কানাডায় সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ির তালিকা চেয়েছে দুদক

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারের সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে কানাডার ‘বেগমপাড়ায়’ সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ির তালিকা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদক কার্যালয়েয ঢাকা মহানগ যুবলীগে দক্ষিণের যুবলীগ বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহুমুদ ভূঁইয়য়ার চার্জশিট বিষয়ে জানাতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সংস্থাটির সচিব দিলওয়ার বখত।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দিলওয়ার বলেন, ‘কানাডার বেগমপাড়ায় প্রাথমিকভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের ২৮টি বাড়ির বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এছাড়া অন্যদের বিষয়ে সরকারের কাছে আমরা তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলে কাজ শুরু করব ‘

এদিন সংবাদ সম্মেলনে দিলওয়ার বখত বলেন, ‘যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

দুদকের এই সচিব বলেন, ‘তদন্তকালে তার নামে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও আট কোটি ৭৪ লাখ টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’

অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর এর সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পাশাপাশি সেসময় তার মালিকানাধীন রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে খালেদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় ওই থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২২টি মামলা দায়ের করে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশন এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল এই টিমের নেতৃত্ব দেন। তিনি ছাড়াও সাত সদস্যের ওই টিমের অপর সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান।

ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ইএস