মংলায় কন্টেইনার ভেঙে কাপড় চুরি: গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২০, ২১:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আমদানি করা কাপড় মংলা বন্দর থেকে বুঝে নেওয়ার আগেই বাজারে বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শামসুল আরেফিন, মনির হোসেন, আবুল কাশেম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুণ ও লেবার সরদার সাগর।

আমদানি করা কাপড় চুরি চক্রের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ একজন কাপড় ব্যবসায়ীর অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি চায়না থেকে কিছু কাপড় আমদানি করেছেন। সেই কাপড় পোর্ট থেকে বের হওয়ার আগেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি নিজেও তার মালামালের স্যাম্পলের সঙ্গে মিলিয়ে বাজার থেকে কিছু মাল ক্রয় করেছেন। মংলা পোর্টের মাধ্যমে তিনি ৩ লাখ ৩০ হাজার গজ কাপড় আমদানি করেছিলেন। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পরে লালবাগ বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ১০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার গজ চোরাই থান কাপড় উদ্ধারসহ শামসুল আরেফিন ও মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুরো সিন্ডেকেটকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তে এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত মংলা পোর্টের কিছু অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, অসাধু কাপড় ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতাদের নাম সামনে আসে।

এই চক্র কিভাবে কন্টেইনার থেকে মালামাল চুরি করে এ বিষয়ে এই উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, আমদানিকরা কন্টেইনারের ভেতরে কি কি মাল থাকে সেটা জানে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তারা তাদের সিন্ডিকেটের অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে একত্রে মিলে মাল খালাসের জন্য দুটি পরিবহনের পরিবর্তে চারটি পরিবহন পোর্টের ভেতরে প্রবেশ করায়। যে মালামালগুলো কাস্টমস থেকে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে সেগুলো দুইটি গাড়িতে উঠায়। একই মালের অন্য কন্টেইনার যেগুলো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পায় নাই এমন কনটেইনারের ভেতর থেকে তালা খুলে মাল বাকি দুই গাড়িতে করে সরিয়ে নেয়। এরপর এই চোরাই মালামাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলে যেত বিভিন্ন জেলার চোরাই বাজারে। এভাবেই চক্রটি মালামাল পাচার করতো।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের টেরিবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদের এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যদের নাম পাওয়া যায়। পরে গতকাল মংলা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরো দুই সদস্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুণ ও লেবার সরদার সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকাটাইমস/২৩ নভেম্বর/এআর/ইএস