সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির বিচার শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১১:২১ | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০৯:৪২

বিচারকের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই বিচার প্রক্রিয়ার কারণে রাজনীতি থেকে সারকোজির একপ্রকার বিদায় হয়ে গেছে বলে মত বিরোধীদের।

সোমবার আদালতে শুনানি শুরু হয়। তবে তিন অভিযুক্তের একজন শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় দুই ঘণ্টা শুনানি শেষে তা স্থগিত করা হয়। ওই অভিযুক্ত কতটা অসুস্থ তা জানতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি ফের শুরু হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এই বিচার প্রক্রিয়া সারকোজির জন্য অশনি সংকেত। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন সারকোজি।

সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালে নির্বাচনী প্রচারের জন্য ল’রিয়াল সংস্থার কর্ণধার লিলিঅ্যান বেটেনকোর্টের কাছ থেকে বেআইনি অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে সেই মামলা সংক্রান্ত গোপন তথ্য বের করে আনার জন্য ফ্রান্সের অন্যতম শীর্ষ আপিল আদালতের বিচারক গিলবার্ট আজিবার্টের উপরে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালান। পরিবর্তে আজিবার্টকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোনাকোতে একটি মোটা মাইনের চাকরি পাইয়ে দেয়ার।

বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছেন সারকোজি। বরং তার বিরুদ্ধে চলা তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকেই আঙুল তুলে গিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তার বিরুদ্ধে চলা সব মামলা খারিজের। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া আটকাতে পারেননি তিনি।

২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্যেই লিবিয়া থেকেও অর্থ সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সারকোজির বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রেই ২০১৩ সাল থেকে সারকোজি ও তার আইনজীবী থিয়েরি হারজগের কথোপকথনে আড়ি পাততে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে উঠে আসে ভুয়া পরিচয়ে কেনা মোবাইলে কথা হয় দু’জনের।

তদন্তকারীরা জানান, সারকোজির মোবাইলটি রেজিস্টার করা ছিল পল বিসমুথ নামে। বেটেনকোর্টের থেকে অর্থ সংগ্রহের মামলা সম্পর্কিত গোপন তথ্য আজিবার্টের থেকে নেওয়ার বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয় সারকোজি-হারজগের।

সারকোজ়ির পাশাপাশি একই কারণে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আজিবার্ট ও হারজগও। বিচার শুরু হয়েছে তাদেরও। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন জনেরই কমপক্ষে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং মোটা অর্থ জরিমানা হতে পারে।

ঢাকা টাইমস/২৪নভেম্বর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :