‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখে পরিবারের চারজনকে হত্যা!

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩৮ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৫:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখে নিজের ভাই, ভাবিসহ পরিবারের চারজনকে হত্যায় প্ররোচিত হন মোহাম্মদ রাহানুল। এরপর কোমলপানীয় স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে ‘ঘুমন্ত অবস্থায়’ তাদেরকে হত্যা করেন। এই ঘটনার ৩৫ দিনের মাথায় রবিবার আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

গত ১৫ অক্টোবর ভোররাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের চারজনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ রাহানুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতরা হলেন- রাহানুলের ভাই শাহিনুর রহমান, শাহিনুরের স্ত্রী সাবিনা, কন্যা তাছনিম ও পুত্র সিয়াম।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রাহানুল দীর্ঘদিন ফেনসিডিলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ (ডিসোপেন-২) সেবন করতেন। এক সময় ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং জেলেও থাকে। এরপর স্ত্রী ফাহিমার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রায়হানুল বেকার অবস্থায় ভাই ও ভাবির সংসারে থাকতে শুরু করেন। ভাবি সাবিনা খাতুন মাঝে মধ্যে টাকার জন্য খারাপ আচরণ করতেন। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ও বেকার জীবনে ভাবির দুর্ব্যবহারের কারণে এক সময় ভাই-ভাবিসহ পুরো পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাহানুর।

অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থানীয় আবু জাফরের দোকান থেকে দুটি স্পিড (কোমল পানীয়) কিনে তার মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। ঘুমের ওষুধ মেশানো এ পানীয় তিনি তার ভাই, ভাবি, ভাতিজি ও ভাতিজাকে খেতে দেন। তারা ঘুমিয়ে পড়লে রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে চাপাতি দিয়ে প্রথমে তার ভাই এবং পরে ভাবিসহ বাকিদের হত্যা করেন।  হত্যাকাণ্ডের পর রাহানুর এর আলামত মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর আগেই সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ রক্তমাখা কাপড়।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এসএস/জেবি)