মিশা-জায়েদের পদত্যাগ চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৬:২২ | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪০

চলচ্চিত্রের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এই সমিতি থেকে তিনি অন্যায়ভাবে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করেছেন। জায়েদের এই কাজে সমর্থন দিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এমন অভিযোগে চলচ্চিত্রের এই দুই শীর্ষ নেতার পদত্যাগের দাবিতে বহু আগে থেকেই আন্দোলন চলছে এফডিসিপাড়ায়। আন্দোলন চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়েও।

তারই মাঝে দেশে হানা দেয় করোনাভাইরাস। কিন্তু জায়েদ-মিশাকে তাদের পদ থেকে সরানোর চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ হারানো শিল্পীদের মধ্যে। তাদেরই একজন অভিনেত্রী তাহমিনা হোসেন বেবী। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী অধিকার রক্ষা ফোরামের যুগ্ম সচিব। জায়েদ-মিশার পদতাগের দাবিতে সম্প্রতি তিনি রীতিমতো পোস্টারিং করেছেন এফডিসির পাশে অবস্থিত সাতরাস্তা মোড়ের দেয়ালে দেয়ালে।

পোস্টারের উপরে বামপাশে খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের ছবি আর ডানপাশের ছবিতে জায়েদ খান। দুই ছবির মাঝে লাল কালিতে লেখা, ‘অন্যায়ভাবে বাতিলকৃত ১৮৪ জন শিল্পীর পূর্ণ সদস্যপদ ফেরত চাই’। পোস্টারের একেবারে মাঝখানে বড় অক্ষরে লেখা, ‘মিশা সওদাগর ও বিতর্কিত অভিনেতা জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’। পোস্টারে দুই তারকার এমন দুটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে তাদের ভিলেন রূপ প্রকাশ পায়।

এর আগে জায়েদ-মিশার পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯ জুলাই এফডিসির সামনে মানববন্ধন করে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ হারানো ১৮৪ জন শিল্পীসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে। পরবর্তীতে মিশা-জায়েদকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন। প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি থেকে জায়েদের সদস্যপদ সাময়িক বাতিলও করা হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সমানে চলতে থাকে জায়েদ-মিশা বিরোধী আন্দোলন।

কিন্তু তাতে খুব একটা ফায়দা মেলেনি। উল্টো সদস্যপদ হারিয়ে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান জায়েদ খান। বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে এই সমিতির সভাপতি পদে খোরশেদ আলম খসরু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সামসুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তাকে অন্যায়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন জায়েদ।

সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর সম্প্রতি এক অফিস আদেশে প্রযোজক পরিবেশক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সেখানে একজন প্রশাসক বসানো হয়েছে। তিনি ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন আরেকটি কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন।

এখানেই শেষ নয়, আরেকটি আদেশে জায়েদকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বেআইনি উল্লেখ করে তাকে কাজে ফেরার অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন মিলে যে জায়েদ-মিশার সঙ্গে পেরে ওঠেনি, তাদের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারানো বেবীর পোস্টারিং আন্দোলন কতটা শক্তিশালী? পোস্টারে উল্লেখিত জায়েদ-মিশার পদত্যাগের দাবি কি বেবীর একার, নাকি সবার? উত্তর মিলবে সময় হলেই।

ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :