স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তদের লম্বা লাইন

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
| আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৩ | প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:১৭

গত দুই থেকে তিন দিন ধরে জ্বর-সর্দিতে ভুগছে আড়াই বছরের শাহ পরান। চিকিৎসকের পরামর্শে তার জন্য ওষুধ নিতে এসেছেন মা দেলোয়ারা বেগম। একই অবস্থা রাব্বি নামে সাত বছরের এক শিশুর। সেও মায়ের সঙ্গে এসেছে চিকিৎসার জন্য। তাদের মতো অসংখ্য শিশু-নারী-পুরুষ জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছেন চিকিৎসার জন্য।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির টিকিট কাউন্টারে শিশু-নারী-পুরুষের লম্বা লাইন। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। লম্বা লাইন দেখা গেছে চিকিৎসক ও ওষুধ বিতরণের কক্ষের সামনেও। গত এক সপ্তাহ ধরে এখানে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী এলেও গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগী আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক রয়েছেন ১৪ জন। ওষুধের কোনো স্বল্পতা নেই। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ডেস্ক রয়েছে। যাদের করোনা কিংবা ডেঙ্গুর লক্ষণ রয়েছে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে টেস্ট করানোর জন্য। হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর টেস্ট করা হয়। করোনা টেস্টের ফি সরকার নির্ধারিত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ফরিদা জানান, গত দুই থেকে তিন ধরে তিনি জ্বর ও সর্দিতে ভুগছেন। তাই এসেছেন চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ নেওয়ার জন্য। রুনা নামে অপর একজন জানান, ১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। তার গত কয়েক দিন ধরে জ্বর-সর্দি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশই জ্বর-সর্দির রোগী।

এদিকে গত সাত দিনে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)একেএম লুৎফর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহানসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ১৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬৪ জন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড ইউনিটে ভর্তি আছেন একজন। অন্যরা হোম আইসোলেশনে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম কাওসার বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর-সর্দির প্রকোপ কিছুটা বেড়ে থাকে। তবে যেহেতু করোনাকাল চলছে, সেহেতু বিশেষ সিমটম থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন শাহনাজ জানান, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্তদের আলাদাভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু কিংবা করোনার লক্ষণ থাকা রোগীদের টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু করোনাকাল চলছে সেহেতু সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ওষুধ ও করোনা পরীক্ষার কিট এবং বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :