নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৭ ডিসেম্বর

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৪ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নুরুল হক নুর (ফাইল ছবি)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ঢাবির ওই ছাত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া তিনিই লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এ মামলায়ও ওই ছয়জনকেই পৃথক পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাটিতে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে।

তবে এই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গড়ে উঠা এই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অন্য আসামিরাও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।  

মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।  

জানা গেছে, মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

মামলার ছয় আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)। এর মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা কারাগারে আছেন।  

ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এমআর