কালভার্টে ওঠতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের মাচাই ভরসা

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৩:২৬ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩৫

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের ছোট মহারাজপুর গ্রামের বাইখোলা-পোরজনা সড়কে ২০ ফুট কালভার্টের দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের মাচা দিয়েই কালভার্টটি পার হচ্ছে ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের মানুষ।

১০ মাস আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৪ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কালভার্টটি। উপজেলার বাচড়া, চরবাচড়া, পোরজনা, বাঐখোলা, রাণীকোলা, ছোট মহারাজপুর, চর কাদই, পুরান কাদাই, পুঠিয়া, বেলতৈল, উল্টাডাব, চরকৈজুরি, বড় মহারাজপুর, কাকরিয়া ও জামিরতা গ্রামের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে।

ছোট মহারাজপুর গ্রামের আব্দুস সালাম, পোরজনা গ্রামের লোকমান হোসেন, রাণীকোলা গ্রামের সামশাদ আলী ও উল্টাডাব গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক ও কালভার্ট দিয়ে একটি ইউনিয়ন তফসিল অফিস, একটি পোস্ট অফিস, একটি আশ্রম, দুটি হাসপাতাল, দুটি ব্যাংক ও তিনটি হাট-বাজারে যাতায়াত করে। এছাড়া এ পথ দিয়ে প্রতিদিন চারটি বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও পাঁচটি মাদ্রাসার ৩ হাজার শিক্ষার্খী যাতায়াত করে। কালভার্টটি নির্মাণের প্রায় ১০ মাস পার হলেও এর দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ না করায় বর্ষার সময় গ্রামের চাকরিজীবীদের দেওয়া ২০ হাজার টাকায় বাঁশের মাচা তৈরি করে যাতায়াত করা হচ্ছে। এটাও পুরনো হয়ে পড়ায় ও পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পণ্য বোঝাই ভ্যান যাতায়াত করতে পারে না। ফলে তাদের ধান, চাল, পাট, গৃহনির্মাণ সামগ্রী ও সেনিটারি সামগ্রী মাথায় করে নিতে খরচ ও সময় বেশি লাগে। এছাড়া কষ্টও অনেক বেশি হয়। এ মাচা বৃদ্ধ ও শিশুরা যাতায়াত করতে পারে না। পণ্যবাহী ভ্যান উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, কালভার্টটি নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারা অবিলম্বে কালভার্টটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান।

এদিকে পেরজনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওসমান গণি জানান, কালভার্টটি নির্মাণের পরপরই বন্যার পানি চলে আসায় মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। তবে বন্যার পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

অন্যদিকে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, কালভার্টটি নির্মাণের পর কিছুটা মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/পিএল)