নোয়াখালীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বিরোধী সাইকেল মার্চ

‘ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনসহ সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে নোয়াখালীতে নারীর প্রতি সহিংসতা বিরোধী তারুণ্যের সাইকেল মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে থেকে এ সাইকেল মার্চের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহায়তায় পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক প্রাণ, নোয়াখালী জেলা স্কাউট এবং অ্যাকশানএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সাইকেল মার্চের আয়োজন করে। এতে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় শতাধিক তরুণ-তরুণী।

মার্চটি বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে যাত্রা শুরু করে মাইজদী নতুন বাসস্ট্যান্ড এবং হরিণারায়নপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।

আয়োজকরা জানান, সাম্প্রতিককালে নোয়াখালী জেলায় নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই নোয়াখালী জেলায় ১৯টি ধর্ষণসহ নারীর প্রতি ৪১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, এই মাসে ধর্ষণ ১৯টি, ধর্ষণচেষ্টা সাতটি, হত্যা পাঁচটি, অপহরণ একটি, আত্মহত্যা একটি, শারীরিক নির্যাতন দুটি, বিবস্ত্র করে নির্যাতন একটি, শ্লীলতাহানির চেষ্টা দুটি, যৌন হয়রানি দুটি, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে হামলা ও হয়রানির দুটি ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্রচারণার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ সাইকেল মার্চের উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। এছাড়াও সংহতি বক্তব্য দেন- নারী অধিকার নেত্রী নুর নাহার রিনি, জেলা স্কাউটের সেক্রেটারি আহম্মদ হোসেন ধনু, প্রাণের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ।

বক্তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, সিডো সনদে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ, তদন্তকালে ভুক্তভোগীকে মানসিক নিপীড়ন-হয়রানি বন্ধ করা, তার আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধবিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/পিএল)