‘দোকানে প্রদর্শন তামাকদ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করে’

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ২১:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিক্রয়স্থলে সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকদ্রব্যের প্রদর্শন এসবের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

বুধবার তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আয়োজনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী প্রসঙ্গে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

ধোঁয়াবিহীন তামাকদ্রব্যের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং প্রবর্তন এবং খোলা বিক্রি ও বিক্রয়স্থলে সিগারেটসহ বিভিন্ন ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিক্রয়স্থলে সিগারেটসহ বিভিন্ন ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের প্রদর্শন এসব ক্ষতিকর দ্রব্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। প্রকাশ্যে ধূমপান এবং অন্যান্য তামাকদ্রব্যের ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা প্রায়শই মানা হচ্ছে না।’

দেশে ব্যাপকহারে তামাক ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উবিনীগের গবেষণায় দেখা গেছে জর্দার বিভিন্ন সাইজ রয়েছে, যা উদ্বেগজনক। দেশে ধোঁয়াবিহীন তামাকদ্রব্যের ব্যবহার ব্যাপক হারে হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজের ও ওজনের কৌটায় জর্দার সহজলভ্যতা এর ব্যবহারকারী বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। খোলা বিক্রির ফলে এসব তামাক পণ্যের দাম এবং কর বৃদ্ধি করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।’

এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধনের প্রয়োজন বলে জানান রুমিন ফারহানা। তবে আইন সংশোধনের পাশাপাশি তিনি জনসচেতনতা সৃষ্টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি। এ বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধূমপান এবং তামাক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা মূলক নাটিকা, তথ্যচিত্র এবং বিজ্ঞাপন প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘পরিবারের শিশু-কিশোরদেরদের ধূমপান এবং তামাক দ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই সচেতন করতে হবে। এতে করে শুধু যে তরুণ জনগোষ্ঠীকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে তাই-ই নয়, বরং তারা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদেরকেও এসকল দ্রব্যের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে সক্ষম হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/কারই/জেবি)