চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে বহু প্রতীক্ষিত ১০ টনের ক্রেন

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

পরিমাণ ও ওজনে কম- এমন পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে আবার আনা হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ১০ টনের মোবাইল ক্রেন। ৬০ কোটি টাকার ২৩টি ১০ টনি মোবাইল ক্রেন কেনার দরপত্রে ইতিমধ্যে ৪টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

যন্ত্রপাতির পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে এই ক্রেনগুলো কেনা হচ্ছে।

এসব ক্রেন বন্দরে যুক্ত হলে পণ্য ওঠা-নামানোর পরিচালন খরচ বেশ কমে আসবে। কেননা সাত বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পরিমাণে ও ওজনে কম পণ্য ওঠানো-নামানো হচ্ছে ২০ টন ৩০ টন ৫০ টনের মোবাইল ক্রেন দিয়ে। এতে খরচ বেশি পড়ে।

২৩টি ১০ টনি মোবাইল ক্রেন বন্দরে যুক্ত হলে সাত বছরের প্রতীক্ষার অবসান হবে। এর আগে ২০১৪ সালে ১০ টন ক্ষমতার ১০টি মোবাইল ক্রেন কিনেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাওয়া এই ১০টি ক্রেন অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।

সেবার ক্রেন সরবরাহের কাজ পেয়েছিল জার্মানির সেনেবুগান কোম্পানি। এবার চবকের প্রায় ৬০ কোটি টাকার ১০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ২৩টি মোবাইল ক্রেন কেনার দরপত্রে অংশ নিয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠান।

‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ’প্রকল্পের আওতায় এসব ক্রেন কেনার জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চবক। বুধবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। এগুলো হলো-

ফ্রান্সের মেনিটক ক্রেন গ্রুপ ফ্রেন্স এসএএস। তাদের দেশীয় এজেন্ট হলো ঢাকার এসেনশিয়াল ট্রেড লাইনস লিমিটেড এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো ইউএসএর মেনিটক।

সিঙ্গাপুরের ইকমট্রেড হোল্ডিং (প্রা.) লিমিটেড। তাদের দেশীয় এজেন্ট ঢাকার রিজেন এনার্জি এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের কাটু ওয়ার্কস কোম্পানি লিমিটেড।

জাপানের তাদানো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি নিজেই ক্রেন উৎপাদন করে। তাদের দেশীয় এজেন্ট চট্টগ্রামের কিংস শিপিং

অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেড।

দরপত্রে অংশগ্রহণকারী চতুর্থ প্রতিষ্ঠানটি হলো জার্মানির সেনেবুগান ফেব্রিকস। তারা নিজেরাই ক্রেন তৈরি করে। তাদের লোকাল এজেন্ট হলো ঢাকার বাংলামার্ক কর্পোরেশন।

দরদাতা চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেনিটক ইউএসএর, ইকমট্রেড ও তাদানো জাপানের এবং সেনেবুগান জার্মানির যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকে।

দরপত্রের শর্তমতো সর্বনিম্ন দরদাতা মোবাইল ক্রেনগুলো সরবরাহের কাজ পাবে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যুর প্রায় এক বছর পর ক্রেনগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।

জানা গেছে, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ’প্রকল্পের মাধ্যমে আটটি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ মোট ১০৪টি যন্ত্রপাতি কেনা হবে। এগুলো বন্দরে যুক্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো/ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টের পর্যাপ্ততা ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত হবে। এনসিটিতে গ্যান্ট্রি ক্রেনের চাহিদা পূরণ হবে শতভাগ। জাহাজের ওয়েটিং টাইম ৬০ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টায় নেমে আসবে এবং তৈরি পোশাক খাতে পোর্ট লিড টাইম উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলে আশা করছে  কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/মোআ)