কাওয়ালি: মেরাজ-উন-নবী

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২২:০০ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২২:০৭

ড. নেয়ামত উল্যা ভুঁইয়া

 [আলাপ]:

এই হাকিকত জানতে আমার মন যে বেকারার,

কে পারো জানাতে খবর মেরাজ মাজেজার,

(যেদিন) আশেক আর মাশুকের হইলো কুদরতি দিদার?

[স্থায়ী] :

মাশুকে ইলাহি আর আশেকে রাসূল,

কার দিদারের ইন্তিজারে কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল?

গুনাহগারের দিলের মাকসুদ;

পূর্ণ করো মাওলা মাবুদ,

বুজদিলের এই ফরিয়াদ হে করো গো কবুল-

কুদরতি ইশারায় জানাও

কে ছিলো ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল!!

[১ম অন্তরা] :

নিলেন খোদা তাঁর হাবিবকে,

আরশে আজিমে ডেকে;

মক্কার দুলাল হইলো,আরশের  বুলবুল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল!!                                                       [কোরাস]:

মাসজিদুল  হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা,

এই সফরে শেষ করিয়া অলৌকিক ইসরা।

ঊর্ধ্বাকাশ সফরে নবী পেলেন রবের ডাক,

বাহন হলো বিজলি গতির বেহেস্তি বোরাক...

[২য় অন্তরা]:

সিদরাতুল মুনতাহায় থেমে,

বোরাক থেকে গেলেন নেমে,

রফ-রফেরই  খাস বাহনে সওয়ার হন রাসূল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল!!

[কোরাস]:

আর্ শ- কুর্সি- লওহ- কালাম,

অতিথিকে জানায় সালাম,

আসমানে জমিনে বহে আনন্দের নহর।

 [সঞ্চারী]:

নবী-রাসূল-পীর-ফেরেশতা-আম্বিয়া-আবেদ,

নবিজীকে জানায় সওগাত, জানায় খোশ আমদেদ ।

[৩য় অন্তরা]:

মহাজগত-সময়-গতি,

তোমার মতির শান কুদরতি,

হাকিকত আর মারেফাতের মেরাজ লাইলাতুল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল বেশি, কে ছিল ব্যাকুল!!

[৪র্থ অন্তরা]:

আশেক-মাশুক মিলন ক্ষণে,

দুই ধনুকের ব্যবধানে

কী আনন্দ জাগলো মনে; (আমি) জানিতে আকুল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল!!

[কোরাস]:

নবী আমার কিসের তৈরি; সেই ভেদ আমার নাই জানা,

মানুষের আকারের নবী নাজাতের ঠিকানা।

আমি অধম ইশকে রাসুল,রাসূলেরই দিওয়ানা-

সিফতি বা জাতি নুরের  ভেদ যে আমার নাই জানা।

আমার কেবল জাগে মনে,

মেরাজের ঐ শুভক্ষণে,

খোদার স্বরূপ দরশনে; 

নুরুল্লাহর ঐ তাজাল্লিতে আমার নবী পুড়লো না।

সেই হাকিকত আমায় দিলো হেকমতেরই নিশানা;

এর বেশি আর অন্য কিছু বুঝতে যে নাই বাসনা।

[৫ম অন্তরা]:

আমার নবীর শান কী অপার,

মিললো মেরাজ খোদার দিদার।

কুদরতি নিদর্শন দেখান আলামিন রাব্বুল-

বলো ; কে ছিল ব্যাকুল বেশি, কে ছিল ব্যাকুল!!

[৬ষ্ঠ অন্তরা]:

আল্লাহর সঙ্গে নবীর মেরাজ;

সব মমিনের মেরাজ নামাজ।

উম্মতের নাজাতে হইলো সেই তোফা মকবুল-

বলো ; কে ছিল ব্যাকুল বেশি, কে ছিল ব্যাকুল!!

[৭ম অন্তরা]

মেজবান যখন আল্লাহ সোবহান ,

তাঁর পেয়ারা হাবিব মেহমান,

মেহমানের অপেক্ষায় থাকে মেজবান পেরেশান

দুনিয়ার এই তরিকা কি তখন ছিল ভুল-

বলো ; কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল!!

[আভোগ]:

খোদার দিদার পাই নাই আমি,পেয়েছেন আমার রাসূল,

সেই দিদারে সব উম্মতের মকবুলে মেরাজ কবুল।

শফায়াতের পাল উড়াবে নবির তরনীর মাস্তুল,

নেয়ামত কয় নবীর প্রেমে; হও দিওয়ানা  হও  মশগুল-

বুজদিলের এই  ফরিয়াদ হে করো গো কবুল-

কুদরতি ইশারায় জানাও; কে ছিলো ব্যাকুল বেশি,

কে ছিল ব্যাকুল-

মাশুকে ইলাহি আর আশেকে রাসূল,

কার দিদারের ইন্তিজারে কে ছিল ব্যাকুল বেশি,কে ছিল ব্যাকুল-

বলো; কে ছিল ব্যাকুল?