শিক্ষার্থীর অ্যাসাইমেন্টে মেধা মূল্যায়নের কারণও লিখতে হবে শিক্ষককে

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২২:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাকালে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সরকার নভেম্বরের শুরু থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছে। শিক্ষকরা সেই অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ এসব মন্তব্য লিখে আসছেন। এবার এই মূল্যায়নের সঙ্গে তার কারণগুলো অ্যাসাইনমেন্টের ওপরেই বিস্তারিত লেখার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বিস্তারিত কারণ জানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তার সবল বা দুর্বল দিকগুলো বুঝতে পারবে এবং শিক্ষকরা ভবিষ্যতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন বলে মনে করছে মাউশি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এ বিষয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের অনুরোধপত্র পাঠান।

তাতে শিক্ষকদের উদ্দেশে লেখা হয়, ‘করোনা সংক্রমণজনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আপনারা নানাভাবে পাঠদান করে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ রেখেছেন। সর্বশেষে যে কাজটি আপনারা এখন আন্তরিকতার সঙ্গে করছেন সেটা হলো শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করা। লক্ষ করা যাচ্ছে উপরে উল্লিখিত প্রত্যেকটি কাজ আপনারা নিয়মিত করছেন।’

মহাপরিচালক আরও লিখেন, ‘কেবল একটি বিষয় আপনাদের আরও মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। সেটা হলো শিক্ষার্থীর খাতায় আপনি যখন 'অতি উত্তম' 'উত্তম' 'ভাল' বা 'অগ্রগতি প্রয়োজন' লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন তার কারণ এরই মধ্যে পাঠানো 'শিক্ষকের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা' অনুসরণ করে বিস্তারিতভাবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে।’

এতে শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারবে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘পরে আমরা যখন এসব অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করব, সে ক্ষেত্রে আপনার মূল্যবান বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা যদি এ অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, পরীক্ষাভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/টিএটি/ইএস/মোআ)