আলী যাকেরকে গার্ড অব অনার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:১৫ | প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:০০

সদ্য প্রয়াত অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক আলী যাকেরকে জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে ‘গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে’। তিনি ছিলেন একাত্তরের স্বাধীন বেতার কেন্দ্রেরেএকজন শব্দসৈনিক। যার ফলে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাকে শেরেবাংলা নগরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে নিয়ে এই রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। তিনি ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ট্রাস্টি।

আলী যাকেরের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী সারা যাকের, ছেলে ইরেশ যাকের এবং মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, অভিনেতা ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, সারওয়ার আলী, মামুনুর রশীদ, তারিক আনামসহ অনেকেই। যারা ছিলেন আলী যাকেরের সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। বিকালে বনানী কবরস্থানে তার দাফন।

বার্ধক্য, হার্টের সমস্যাসহ কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে গত ১৭ নভেম্বর থেকে আলী যাকের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এছাড়া গত চার বছর ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। সেই চিকিৎসার অংশ হিসেবে নিয়মিত তার থেরাপি চলছিল।

এত সমস্যার মধ্যে সম্প্রতি আবার আলী যাকের করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে সেখানেই তিনি মারা যান। আলী যাকেরের ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের জানান, ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে মারা যান তার বাবা।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তির আগে বেশিরভাগ সময় বাসাতেই কাটাতেন আলী যাকের। সেখানে তাকে হুইল চেয়ারের মাধ্যমে চলাফেরা করতে হতো। চার বছর আগে শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকেই তিনি অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। কাজ করেননি মঞ্চেও। বলতে গেলে, অভিনয় তিনি একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার ছাড়লেন পৃথিবী।

১৯৭২ সালের আরণ্যক নাট্যদলের ‘কবর’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল আলী যাকেরের। ১৯৭৩ সালে তিনি যোগ দেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে। টিভির পর্দায় ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’সহ বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে তাকে দেখা গেছে।

অভিনয়ের বাইরে আলী যাকের নাটক নির্দেশনা ও লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত। এছাড়া তিনি একজন নাট্য সংগঠকও। ‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।

ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :