মেহেরপুরে ১৬ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়
প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫৪ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৬:০৬
চাহিদা বেশি থাকায় সরকার ঘোষিত দামে ডিএপি সার বিক্রি করছেন না মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে জেলায় প্রতিকেজি ডিএপি সারের দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ টাকায়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় তারা দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রতিটি বিসিআইসি সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে ডিএপি সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তার পরও ও অস্ট্রেলিয়া ডিএপি সার পাইকারিতে প্রতিবস্তা ১১৭০ দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকায়। আগেও ৫০ কেজির এক বস্তা ডিএপি সার কিনতে কৃষকের খরচ হতো ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সরকার এই সারের দাম ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তাতে কেজি প্রতি দাম ২৫ টাকা থেকে কমে ১৬ টাকা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আর বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা দরে।
বারিয়াঘাট গ্রামের কৃষক শাহীন আলী জানান, হঠাৎ করে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উৎপাদসন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়েও।
বিসিআইসি ডিলার নুরুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকার কারণে বাহির থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে এনে কৃষকদের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন মেহেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুরে বিগত সময়ে চেয়ে চাষাবাদ অনেক বেড়েছে। ফলে সারের চাহিদাও বেড়ে গেছে। অথচ বরাদ্দ বাড়েনি। তারপর কোন ডিলার বা ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও সার বীজ মনিটিরিং শাখার মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কে,এম শাহাবুদ্দিন বলেন, কোনো কৃষক বেশি দামে সার কেনার অভিযোগ করলে সেই ডিলার ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। প্রয়োজরে তার ডিলারশীপ বাতিলসহ নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকাটাইমস/২৭ নভেম্বর/পিএল