ড্রাম চিমনির ইটভাটায় ঝুঁকিতে হাজার পরিবার

ফরিদুল আলম সজীব, গফরগাঁও
| আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৪০ | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৫৪

তিন পাশে ফসলি জমি, ফলদ ও বনজ গাছপালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বাড়িঘর। একপাশে শীলা নদী। মাঝে অবৈধ ড্রাম চিমনীর ইটভাটা। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চামুরথা গ্রামে এমবিবি নামের ওই ইটভাটায় প্রতিদিন পুড়ছে ৪০০ মণের বেশি কাঠ। এর ফলে আশপাশে ক্ষেতের ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে, ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে অন্তত হাজার পরিবার।

চলতি মৌসুমে এমবিবি ইটভাটাটি চালুর উদ্যোগ নিলেই এলাকাবাসী বাধা দেয়। তারা জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন এই অবৈধ ইটভাটাটি বন্ধের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২১ নভেম্বর ভাটায় অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়।

কিন্ত সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে অভিযানের তিন দিন পরেই মালিক হাবিবুল্লাহ ড্রাম চিমনি স্থাপন করে, আগুন দিয়ে ভাটাটি চালু করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোঃ হাবিবুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি যৌথ দুই বছর আগে অনুমোদনহীন ড্রাম চিমনির ইটভাটাটি স্থাপন করেন। এরপর থেকেই ফল ও ফসলের উৎপাদন কমে গেছে গ্রামটিতে।

শুধু তাই নয় শীলা নদীর সেচ ড্রেইন দখল করে নেওয়ায় কৃষকের ৪০০ হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়ার ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।

তবে ইটভাটার মালিক মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের ইটভাটা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তারা আমাদের কিছুই বলেননি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মোঃ ফরিদ আহমেদ বলেন, ড্রাম চিমনির এই অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়েছি নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটাটি চালু করা হয়েছে। অচিরেই অভিযান চালিয়ে ইটভাটাটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, লোকালয়, ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা বেআইনি। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :