সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনফরমেশন সিস্টেমসহ অটোমেশন বাস্তবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনফরমেশন সিস্টেমসহ অটোমেশন বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

রবিবার বিএসএমএমইউয়ের ই ব্লকে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। 

 

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাব ও সংকটের মাঝেও বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসাতালের মূল ভবন দ্বিতীয় তলা বেজমেন্টসহ ভবনের সকল ফ্লোর নির্মাণসহ কাঠামোগত (স্ট্রাকচারাল) কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনে ইটের কাজ (ব্রিক ওয়ার্ক), প্লাস্টার, ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, এলমোনিয়াম শীটসহ অন্যান্য কাজসহ সামগ্রিক কার্যক্রমও এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বমানের এই হাসপাতালটির সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসাতালের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সাড়ে ছয়শত শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই হাসপাতালটিতে একজন রোগী একই সেন্টার থেকে সব ধরণের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। হার্ট, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে অক্রান্ত রোগীদের একই সেন্টার থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। বিশ্বমানের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ থাকবে হাসপাতালটি। রোগীদের সকল রেকর্ড রাখা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। সেকেন্ড ফেইজে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হবে।  

 

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ও সার্জারি অনুষদের সম্মানিত ডীন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ডা. মো. জাহিদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই অটোএভারের হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেমের  (এইচআইএস) প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস্টার সান-ইল-কিম। কোরিয়ান আটজন প্রশিক্ষকসহ দেশীয় প্রশিক্ষকদের সহায়তায় চলমান এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি পরিচালিত হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের শিশু অনুষদের ডিন ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, চিফ এস্টেট অফিসার ডা. এ কে এম শরীফুল ইসলাম, পরামর্শক দাতা প্রতিষ্ঠান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অর্কিটেক্টের প্রধান কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মি. জাংগ হোবিন,  সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উপ- প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. নূর ই এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগী বান্ধব সবুজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাসহ জনসাধারণ এখানে সাশ্রয়ীমূল্যে  আন্তর্জাতিক মানের  চিকিৎসাসেবা পাবেন। এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে। বিশেষ করে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার সংবিধানের এই স্বীকৃত বাণী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

 

 ঢাকাটাইমস/২৯ নভেম্বর/এ/ইএস