ফরিদপুরের কুমার নদে সড়ক ধসে ভোগান্তি
ফরিদপুর শহরের ভাটিলক্ষিপুর কুমার নদের পাড়ের বিরাট এলাকা নিয়ে ধস দেখা দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর পাকা সড়কের অন্তত ৩০০ মিটার অংশ ধসে গেছে। রবিবার ধসে যায় সাতটি বসতবাড়ি এবং এর কয়েকদিন আগে ধসে গেছে সড়ক।
এর ফলে ধসে যাওয়া বসতবাড়ির আশে-পাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে লক্ষিপুর চুনাঘাটা সড়কে সাড়ে ৩০০ মিটার অংশ ধসে পড়ায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধ্বসে পড়া বাড়র মালিকরা হলেন, ভাটিলক্ষিপুর এলাকার কুমার নদের পাড়ের মীর আলমাস, রহিম শেখ, মুনসুরখান, ফিরোজ কবিরাজ, করিম মোল্লা, রুনা বেগম, মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসন ও শেখ করিম।
ক্ষতিগ্রস্তরা মীর আসমাস, রুনা বেগম ও রহিম শেখ জানান, অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন ও খনন করা মাটি পাড়ে না ফেলে বিক্রি করে দেয়াই এই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয়দের জান-মাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর পদক্ষেপ নেবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহারিয়ার কাদির রুবেল জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই কুমার নদের বিভিন্ন অংশে সড়ক ও নদের পাড়ে ফাটল দেখা দেয়। তিনি বলেন, শহরের অম্বিকাপুর পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের মাজারের নিকট থেকে লক্ষ্মীপুর চুনাঘাটা পর্যন্ত পাকা সড়কটি পাউবোর বেড়িবাঁধের উপর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নদের খননের পর সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গিয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয় ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, বসতবাড়ি ধসের খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে লোক পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রেজা বলেন, সরকারিভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলো বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/কেএম)