যে খাবারে বহু রোগ থেকে বাঁচবেন

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১০:০৯ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১১:৪৬

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শীতে রোগ জীবাণু আর ঠান্ডা কাশি থেকে রক্ষা পেতে দরকার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। করোনার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে খুবই পরিচিত তরকারি কোলার মোচা। গ্রামাঞ্চলে এই খাবারটির প্রচলন বেশি হলেও এখন শহরেও এটি কমবেশি খাওয়া হয়। কারণ কলার মোচার মধ্যে রয়েছে কার্বো-হাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই। আর সে কারণেই প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে এটি এমনকি ‘করোনা’র বিরুদ্ধে লড়াইতেও বেশ কার্যকর।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, কলাতে যেসব পুষ্টি উপাদান থাকে, তার থেকেও বেশি উপাদান আছে কলার মোচায়। পাশাপাশি মোচা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটি ভিটামিন বি সিক্স, সি ও আঁশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে বেশি পরিমাণে আছে ভিটামিন ই, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্যে বিশেষ উপকারী।

 

উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে

 

মুড সুইংয়ের সমস্যা কমাতে ডায়েটে রাখুন কলার মোচা। এটি মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। আর তাই অ্যান্টি ডিপ্রেশনের জন্য আলাদা করে কোনো ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই।

 

ডায়াবেটিস অ্যানিমিয়া নিয়ন্ত্রণে

 

টাইপ টু ডায়াবেটিস ও নারীদের অ্যানিমিয়া রোধে কলার মোচার উপকারিতা অপরিসীম। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এটি অতুলনীয়, আবার শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও সঠিক রাখতে সহয়তা করে। যার ফলে অ্যানিমিয়া দূরে থাকে।

 

পেটের সমস্যা দূর করে

 

কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা ভাব এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

হৃদরোগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

 

কলার মোচায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উন্মুক্ত রেডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে। জারণ ক্ষয় প্রতিহত করে, হৃদরোগরের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফেনলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য বায়োঅ্যাক্টিভ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

শরীরের ইনফেকশন প্রতিরোধ করে

 

কলার মোচায় থাকা উপাদান জীবাণু বা ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার সাথে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এমনকি ম্যালেরিয়ার ব্যাকটেরিয়াকেও খুব সহজে ধ্বংস করতে পারে। এছাড়া নিয়মিত মোচা খেলে শরীরে কোনো ধরনের পরজীবী ব্যাকটেরিয়া জন্মায় না।

 

নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে

 

কলার মোচায় ঋতুচক্র জনিত ব্যথা কমায় এবং প্রোজেস্টেরন উত্পাদন বৃদ্ধি করে রক্তাল্পতা হ্রাস করে। প্রতিদিন অন্তত এক কাপ করে রান্না করা মোচার সাথে টকদই মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয় যায়। কলার মোচায় রয়েছে প্রাকৃতিক ‘গ্যালাক্টাগাগ’। যা স্তন্যদানকারী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়তা করে।

 

ক্যানসার কোষ তৈরিতে বাধা দান করে

 

শরীরে মুক্ত মৌলের উপস্থিতি বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে বীচি কলার মোচার নির্যাস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দারুন কাজ করে। তাই প্রাথমিকভাবে কোষ গুলোকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে মোচা। বয়স হলে ত্বকে যে বলিরেখা পড়ে, নিয়মিত মোচা খেলে সেই বলি রেখা মুছে যায়।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/আরজেড/এজেড)