রাজধানীতে নারীকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫১ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পারিবারিক কলহের জের ধরে রাজধানীর কাফরুলে এক নারীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামীর আগের সংসারের ছেলে পলাতক রয়েছে। রবিবার দুপুরে কাফরুলের ইমাননগর সমিতির বাইশটেকি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।

লাশ উদ্ধারের পর রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

কাফরুল থানার এসআই আবু বকর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই নারীর নাম সীমা আক্তার। স্বামী শাজাহান সিকদার। ৮ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। কাফরুলের ওই ফ্ল্যাটে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন সীমা। খবর পেয়ে রবিবার বিকালে সীমার অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

তার শরীরের পেছনের দিকটা পোড়ানো, পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তার সৎ ছেলে নাহিদ পলাতক রয়েছে। পারিবারিক বিরোধেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

সীমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। সীমার স্বামী শাজাহান শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নাহিদ পলাতক। তবে ঘটনার সময় শাজাহান বাসায় ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, শাজাহান শিকদার একটি কার্টন ফ্যাক্টরির কর্ণধার। ইমাননগর সমিতি এলাকায় একটি ১০তলা ভবনের সাততলায় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা বেগমকে (৩৩) নিয়ে থাকতেন। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের পাশের ফ্ল্যাটেই শাজাহান শিকদারের ছেলে নাহিদ তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, সে কারণেই সীমাকে খুন করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, সীমা আক্তারের লাশ বিছানায় উপুড় অবস্থায় পড়েছিল। তার পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের পেছনের দিকে পোড়া ছিল। মৃতদেহের পাশেই একটি লুঙ্গি ছিল। কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার আগে তাকে গলায় লুঙ্গি বেঁধে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/কেআর)