ঘরোয়া পদ্ধতিতেই দূর হবে ঠোঁটের শুষ্কতা

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৩২ | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫০

শীতের মৌসুম শুরু হয়েছে। এই সময়ে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও শুষ্ক হয়। শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভুগতে হয় বেশিরভাগ মানুষকেই। বারবার লিপ-বাম জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে হয়। এগুলো আমাদের ঠোঁটকে সাময়িক স্বস্তি দেয় ঠিকই। কিন্তু স্থায়ী স্বস্তি দেয় না। শীতকালের শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার বহু উপায় বাড়িতেই রয়েছে। তেমন কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো-

নারকেল তেল

নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাতে নিয়মিত ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যারিয়ার অয়েল প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। এগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বককে আর্দ্র করে। ঠোঁটকে নরম ও কোমল করতে সাহায্য করে।

এর মধ্যে টিট্রি অয়েল বা গ্রাপিসড অয়েল যোগ করে নেওয়া যায়। যা ফাটা ঠোঁটের উপকার করবে। ফাটা ঠোঁট থেকে অনেক সময় সংক্রমণের ভয় থাকে। এসব প্রাকৃতিক তেল সেই সব সংক্রমণকেও রোধ করতে পারে।

মধু

আমরা সকলেই জানি যে মধু খুবই ভালো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াজাত পদার্থ এবং ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বককে কোমল করতে সাহায্য করে, ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রোধ করে। এই দুটো জিনিস যদি একসঙ্গে ঠোঁটে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ঠোঁটের জন্য উপকারীও হবে আবার ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকেও রেহাই মিলবে। মধু প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। আর ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁট নরম রাখতে অনেকেই ব্যবহার করেন। আসলে এই দুটি উপাদানই প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ করে।

ফাটা ঠোঁটের জন্য বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন এই চটজলদি সমাধান।

প্রথমে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে নিন। একটা পাতলা স্তর বা আস্তরণ তৈরি হবে। তার উপর দিয়ে ভেসলিনের একটা স্তর তৈরি করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই দুই উপাদান ফাটা ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবার টিস্যু বা পাতলা কাপড়ের সাহায্যে ঠোঁটের ওই আস্তরণ তুলে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই দুই উপাদান ঠোঁটে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ফাটা ঠোঁটের সমস্যার ম্যাজিকের মতো সমাধান হবে।

শসা

গরম কালে শসা রূপচর্চার ক্ষেত্রে আপনার প্রিয় বন্ধু হতে পারে। শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় এটি ভালো প্রাকৃতিক ওষুধ। ত্বককে নরম এবং কোমল করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। টুকরো করে কেটে নেওয়া ফ্রেশ শসা দুই থেকে তিন মিনিট ঠোঁটের উপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে আগে থেকে তৈরি করে রাখা শসার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন অন্তত ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস না লাগিয়ে শসা চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি করেও লাগাতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই দূর হবে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঠান্ডাভাবও বজায় রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতা কেটে নিয়ে তার ভিতরে থাকা জেল বের করে একটি পাত্রে রাখতে হবে। ওই জেল রাতে ঘুমাতো যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। একটি পাত্রে ওই জেল ফ্রিজে রাখতে পারেন। প্রতিদিন রাতেই এটা ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।

গ্রিন টি ব্যাগ

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফাটা ঠোঁটের সমস্যার সমাধানে এটি অত্যন্ত জরুরি উপাদান। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও গ্রিন টি ব্যাগ অত্যন্ত উপকারী। একটি গ্রিন টি ব্যাগ এক কাপ গরম পানিতে কয়েক মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ওই টি ব্যাগটি সরাসরি ফাটা ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এটা করতে পারেন।

যাদের ঠোঁট ভীষণ শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদ অভ্যাস তৈরি হয়। যা হলো খানিকক্ষণ পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এটি করলে ঠোঁট শুকোবে না। কিন্তু এতে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই এই কাজটি থেকে বিরত থাকুন।

ঢাকা টাইমস/৩০নভেম্বর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :