`ডাকটিকিট দেশ ও জাতির প্রতিকৃতি প্রকাশ করে'

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৪৪ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:২০

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ব্যক্তিত্ত্ব ও প্রকৃতিকে তুলে ধরতে ডাকটিকিটের চেয়ে ভালো হাতিয়ার আর কিছু হতে পারে না। বস্তুত ডাকটিকিট একটি দেশ ও জাতির প্রতিকৃতি প্রকাশ করে। ডাকটিকিট একটি খামে বসিয়ে দেওয়া বা পোস্টকার্ডে প্রকাশ করা নয় বরং এর মাধ্যমে সারা দেশকে, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি কৃষ্টি, ব্যক্তিত্ব, সমাজ ব্যবস্থা ও জীবন ধারা তুলে ধরা যায়। ডাকটিকিট প্রকাশের ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণে সৃষ্টিশীলতা ও শৈল্পিক বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।

তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহকে একটি আন্দোলনে পরিণত করতে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী সোমবার ঢাকায় ডাকভবনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বাংলাপেক্স জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল আলম এবং সেক্রেটারি আনোয়ার ইসলাম বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী যুগের চাহিদা পূরণে ডাকঘরসমূহকে এনালগ থেকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ডাকঘরের কর্মীরা যদি নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারে তবে ডাকঘর একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের যে যাত্রা শুরু হয়েছে ডাক বিভাগ তার অতীত শৌর্য বির্যের জায়গায় ফিরে আসবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলেন, ডাকটিকিট সংগ্রহ কেবলমাত্র শখের বিষয় নয় এটির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক বেশি।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এজেড)