দেশের মানুষ ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে: ফখরুল

দেশের মানুষ ভয়াবহ একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষ আজ ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে, দুঃসময়ের মধ্যে কাটাচ্ছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

রাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘গ’ বিভাগের গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি এখন অন্যায়ভাবে কারাগারে রয়েছেন, বন্দি হয়ে রয়েছেন। আমাদের ৩৫ লক্ষ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে আছে। আমাদের শত শত কর্মী, আমাদের ভাই, আমাদের সহযোগীদের হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে।

বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক চর্চাতেও এগোতে হবে এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে যেমন বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে এগোতে হবে, অন্যদিকে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দিয়ে, গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশ।

‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা পারব। আমি বিশ্বাস করি, উই শ্যাল ওভারকাম। আমাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমরা কিছুদিন পরে এই পৃথিবীতে থাকব না। কিন্তু তোমরা যারা আজকে প্রজেক্ট নিয়ে এসে্ছ তোমাদের সংখ্যা কম নয়। আমি আশান্বিত হয়েছি তোমাদের এই কম বয়সে কী চমৎকার রাষ্ট্র নিয়ে কত গভীরে চিন্তা করছ। এরা আমাদের ছেলে, এরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা আমাদেরকে একটা সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দেবে।–যোগ করেন ফখরুল।

যুব সমাজকে রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে আমরা যতই বলি না কেন, টেকসই উন্নয়ন বা প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমার যেটা মনে হয়, আজকে বাংলাদেশের বড় সমস্যা যারা তরুণ, যারা যুবক তাদের মধ্যে রাজনৈতিক যে সচেতনতা এটা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি যে, এটার একটা বেশি রকমের ক্যাম্পেইন করা দরকার। আমাদের যারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেশি করে আনা দরকার।

মোস্তফা আজিজ সুমন ও কানিতা‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সময়ের কার্য্ক্রম তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে মাসরুর চৌধুরী, সোহাগ সরকার, সুরাইয়া আখতার মৌসুমী, জান্নাতুল নওরীন উর্মি, রকীন হাসান প্রত্যয়, নাহিদ চৌধুরী, সাবাব তাসরিফ জামান, আবদুল মান্নান তাদের প্রণীত মডেল প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বিচারক প্যানেলের ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, ড. হাসানুজ্জামান, ড. ফজলুল হক, ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, ড. রেজাউল করীম প্রতিযোগীদের কা্ছে তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এমআর