সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:১৭ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪৪

কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর বাউফলে একটি সড়ক সংস্কার কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্যাদেশ হওয়ার আগেই কাজ শুরুর অভিযোগের পাশাপাশি টেন্ডারের শর্ত না মেনে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নিজেদের খুশিমতো কাজের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, কলাগাছ আর ডালপালা দিয়ে প্যালাসাইডিং করা হচ্ছে। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আহমেদ এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বলছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠি গ্রামের নুর হোসেন মৃধা বাড়ি থেকে মোশারেফ হোসেন খান বাড়ি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক মেরামত কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করে এলজিইডি। গত ৭ অক্টোবর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ৪০ লাখ টাকায় কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় আহমেদ এন্টারপ্রাইজ। সিডিউল অনুযায়ী সড়কটির ভাঙন ঠেকানোর জন্য ৭৩টি খুঁটি স্থাপন করে ব্রিক ওয়াল দিয়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ ও ২৫ এমএম কার্পেটিং করার কথা। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, নিম্নমানের ইট দিয়ে এজিন তৈরি করা হচ্ছে। চৌধুরী বাড়ির দীঘির পাড়ে কলাগাছ আর ডালপালা দিয়ে প্যালাসাইডিং করে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সাইট পরিদর্শনের জন্য এলজিইডি অফিসের কোনো কর্মকর্তা আসেন না। ধুলোবালি দিয়ে সড়কটির গর্ত ভরাট করা হচ্ছে। আর দীঘির পাড়ে ভাঙন ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কলাগাছ। এভাবে নামমাত্র কাজ করে সরকারি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চলছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কাজটি তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ বলেন, আমার কাছে শুধু প্রকল্পটির সিডিউল আছে। কার্যাদেশ এখনও হাতে পাইনি। ওই কাজে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই। সিডিউলে যা আছে তাই করতে হবে। অন্যথায় বিল পরিশোধ করা হবে না। অনিয়মের খবর পেয়ে আমি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি। কলাগাছের প্যালাসাইডিং ভেঙে ফেলেছি।

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খবির সিকদার বলেন, কয়েকদিন পর ধান কাটা মৌসুম শুরু হবে। তখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগেভাগেই কাজ শুরু করেছি। সিডিউল অনুযায়ী সব কাজ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকাটাইম/২ ডিসেম্বর/পিএল