ল্যাবে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমোদন সিঙ্গাপুরে

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মুরগী জবাই করা বা পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলার। তাছাড়া রক্ত লাগারও বিষয় থাকে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এত কষ্ট করতে হবে না। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ল্যাবে তৈরি করা মাংস বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সিঙ্গাপুর।  মার্কিন সংস্থা ইট জাস্ট ইনকে তাদের পরীক্ষাগারে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।

এই মাংসর বিশেষত্ব হল, জবাই বা কাটা ছাড়াই পাওয়া যাবে। পশুর কোষ থেকে এ জাতীয় মাংস তৈরি করা হয়। সিঙ্গাপুরের গুড মিট ব্র্যান্ডের অধীনে একটি রেস্তোরাঁয় এটি পাওয়া যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মাংস খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। প্রাণীর কোষ থেকে এ জাতীয় মাংস তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দফায় নাগেট হিসেবে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি প্যাকেটের দাম ধার্য করা হয়েছে ৫০ ডলার।

মাংসের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য প্রাণী কল্যাণ ও পরিবেশ প্রেমীদের। অনেকেই বিকল্প মাংসের খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছেন। বিয়ন্ড মিট ও ইম্পসিবল ফুডস নামের সংস্থাটির উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের চাহিদা প্রবল। আর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে পশুর কোষ থেকে মাংস তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি সুস্থ ও পরিষ্কার প্রাণীর বাইরের কোষ থেকে এই মাংস তৈরি করা হচ্ছে। এটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এ জাতীয় মাংস তৈরির খরচ কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে।

পরীক্ষাগারে তৈরি মাংসের দাম প্রিমিয়াম মুরগির প্রায় সমতুল্য হবে। আর খুব তাড়াতাড়ি সিঙ্গাপুরের আরও কয়েকটি রেস্তোরাঁয় এ জাতীয় মাংস বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০২১ সালের মধ্যে এজাতীয় মাংস বিক্রি থেকে লাভের আশা করছে সংস্থাটি। বিশ্বের প্রায় ২৪টি সংস্থা বিকল্প মাংসের বাজার তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে। পরীক্ষাগারে মাছ, মুরগি ও গরুর মাংস তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২৯ সালের মধ্যেই এই জাতীয় মাংসের কেনাবেচা ১৪০ বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঢাকা টাইমস/০২ডিসেম্বর/একে