মহারশি রাবারড্যামে চার হাজার পরিবারের ভাগ্য বদল

খোরশেদ আলম, শেরপুর
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদীর রাবারড্যামে প্রায় চার হাজার কৃষক পরিবারের ভাগ্যের বদল হয়েছে। সেচ সংকটের অভাবে যুগযুগ ধরে এসব কৃষকের জমিতে ইরিবোরো চাষ হতো না। এসব জমিতে বছরে এক ফসল ফলাতে হতো তাদের। ফলে এলাকার কৃষকরা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতেন।

কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার জাইকার অর্থায়নে মহারশি নদীর শালচুড়া, রাংটিয়া এলাকায় ২০১৬ সালে একটি রাবারড্যাম নির্মাণ করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় রাবারড্যামটি।

২০১৭ সাল থেকে সেচ সুবিধা ভোগ করতে থাকেন কৃষকরা। সেচ সুবিধার আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হলো- রাংটিয়া, শালচুড়া, নলকুড়া, ডেফলাই, মরিয়মনগর, ফাকরাবাদ, ভারুয়া, গজারীকুড়া, বনকালি, কুসাইকুড়া ও হলদিগ্রামসহ আশপাশের আরো প্রায় ১৫টি গ্রাম।

রাবারড্যাম নির্মাণ করায় এসব অনাবাদি জমিতে এখন অনায়াসে বোরো চাষ হচ্ছে। বেড়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। ফলে এসব এলাকার কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। রাবারড্যামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শণার্থীরাও ভিড় করছেন এখানে।

এ রাবারড্যামের পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি সমিতি। এ সমিতির সদস্য সংখ্যা ১২০০। প্রথম থেকে সেচ সুবিধার আওতায় কৃষক পরিবারের সংখ্যা কম হলেও বর্তমানে তা বেড়ে প্রায় চার হাজার কৃষক পরিবার সেচ সুবিধা ভোগ করছেন। সমিতি পরিচালনার জন্য প্রতি একর জমি থেকে সেচ মূল্য ২০০ টাকা করে নেয়া হয়। স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় দিনে দিনে কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে।

মহারশি নদীর পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিন্তারঞ্জন হাজং বলেন, যুগযুগ ধরে সেচ সংকটের কারণে এসব এলাকার জমিগুলো পতিত থাকতো। এখন পুরোদমে চাষাবাদ হচ্ছে। জমিগুলোতে বেড়েছে উৎপাদন লক্ষমাত্রা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, রাবারড্যামের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে প্রায় তিন হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।

হুমায়ূন কবির বলেন, রাবারড্যামের পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হলে সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। কৃষিক্ষেত্রে আসবে পরিবর্তন।

মহারশি নদীর রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছ উদ্দিন বলেন, সেচ সুবিধা বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সামছ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষকদের সেচ সুবিধার স্বার্থে মাটির নিচ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ ও রাবারড্যামটির চারপাশ আরো সৌন্দর্য বর্ধণ করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই তা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :