মস্কোতে গণহারে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে রাশিয়া

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:১০ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা মহামারি ঠেকাতে প্রথম দেশ হিসেবে গণহারে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে রাশিয়া। ফাইজারের তৈরী ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর একদিন পর রাশিয়ার এই ‘ভ্যাকসিনেশন’ কার্যক্রম শুরু হল।    

আরব নিউজের একটি প্রতিবেদন বলছে, শনিবার থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ৭০টি হাসপাতালে গণহারে ‘স্পুটুনিক ভি’ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

দেশটির ট্রাস্ক ফোর্স বলছে, রাশিয়ার তৈরী ভ্যাকসিন ‘স্পুটুনিক ভি’ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হবে। উচ্চ ঝুকিঁতে থাকায় এই ভ্যাকসিন প্রথমে ডাক্তার, শিক্ষক এবং সমাজ কর্মীদের দেহে প্রয়োগ করা হবে। 

জানা গেছে, দুই দফায় ইনজেকশনের মাধ্যমে স্পুটিনিক ভি ভ্যাকসিন একজন মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ইনজেকশনটি দেয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ইনজেকশন দেয়া হবে। তবে গর্ভবতী মহিলা কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন এমন নাগরিক ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না।   

মুসকোবিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ইতোমধ্যে ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা পেয়েছেন। যেখানে লিখা রয়েছে, ‘আপনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাই আপনাকে আমরা বিনামূ্ল্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

মেজর সার্জেই সোবায়েনিন তার ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইটে লিখেছেন যে, প্রথম পাচঁ ঘন্টায় পাচঁ হাজার লোক ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য রেজিস্টেশন করেছেন।

এদিকে, শনিবার একদিনেই দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৭৮২ জন। সবমিলিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৩১ জন। যা দেশটিকে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থান দিয়েছে।  

এখন পর্যন্ত রাশিয়া দুটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে’র অর্থায়নে ‘স্পুটিনিক ভি’। অন্যটি করা হয় ‘সাইবেরিয়ার ভেকটর ইনস্টিটিউটের’ অর্থায়নে। উভয় ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি। 

চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগে রাশিয়ার এমন তাড়াহুড়োর বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিষয়টি নিশ্চিত না করে এভাবে ভ্যাকসিনগুলো গণহারে প্রয়োগ করা ঠিক হচ্ছে না।  

ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এনএইচএস/