জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরি করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৫১ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি।

স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি এবং একটি কাঠামোতে আনতে দেশে 'জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা' বা ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার পলিসি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার রাজধানীতে ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২০' ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটার এইড যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে।

এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু হয় এবং তখনই বঙ্গবন্ধু তার চিন্তা চেতনায় স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়ে ভেবেছেন। পরবর্তীতে জাতীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা তৈরি হয়নি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি আতঙ্কের মধ্যেও ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন যে কোনো দুর্যোগে, আপদে-বিপদে এদেশের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এটি এদেশের মানুষের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা মহৎ কাজ করেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোন প্লাটফর্ম নেই তা জানার পরে ইউএনভি'র অনুরোধে মন্ত্রী একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বলে মন্তব্য করেন।।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনসিসি, গার্লস গাইড, স্কাউটসসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য ছেলেমেয়ে যুক্ত আছে। এর সাথে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিসহ আগ্রহী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে এটি একটি বিশালে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।।

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরিতে সকলের মতামত প্রদানের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নীতিমালা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এটি দেশ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়।

এ সময় স্বেচ্ছাসেবায় অবদান রাখায় ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সুলতানা আফরোজ, সেক্রেটারি ও সিইও, পিপিপিএ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং জাতিসংঘের আবাসিক কর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)