রাজৈর উপজেলা আ. লীগের সভাপতিসহ তিন মেয়র প্রার্থী বহিষ্কার

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিন মেয়র প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ। দলীয় সংগঠন বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে সম্মেলনের শুরুতে রাজৈর পৌরসভাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত, সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত নাগরিক সেবার পৌরসভা গড়ার লক্ষে ৫০ দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এটি করেন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজমা রশিদ।

বহিষ্কৃতরা হলেন- রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব মিয়া এবং রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বক্কার, রাজৈর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, রাজৈর পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোপা শারমীন। শেষের তিনজন রাজৈর পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে জানান, বহিষ্কারাদেশ দেয়া চার নেতা ছাড়াও আরো দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে সঠিক জবাব না দিলে তারাও বহিষ্কার হবেন।

তারা হলেন- রাজৈর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক রিজন ও রাজৈর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাহা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবু্দ্দিন আহমেদ মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আসন্ন রাজৈর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে দলীয় নেতাদের কাজ করার কথা। অথচ তারা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধী প্রার্থী এবং প্রার্থীকে সহযোগিতা করে নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠন বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। তাই দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত চাটার্জী বাপ্পী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, রাজৈর পৌর নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিএনপি দলীয়। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নয়জন এবং ৩২ জন সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এখন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকভাবে চলছে। এবারই প্রথম ইভিএমএ ভোটগ্রহণ হবে।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/পিএল)