লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়লেও মজুরি বাড়েনি

মুনিরুজ্জামান, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
 | প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১০

সারাদেশে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তাই শীতের আগমনে চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোষকের। এর ফলে লেপ-তোষকের কারখানা ও দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষকের কারিগররা। তবে আগের তুলনায় মজুরি বাড়েনি কারিগরদের।

শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শীতকে বরণের প্রস্তুতি চলছে উপজেলার বিভিন্ন বেডিংয়ের দোকানে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র থাকলেও লেপের তুলনা নেই। লেপ ব্যবহারে আগ্রহ রয়েছে সবার মধ্যেই। তাই শীতের শুরুতেই লেপ-তোষক তৈরির জন্য ভিড় বেড়েছে বেডিংয়ের দোকানে।

নন্দীগ্রাম পৌর শহরের বাজার এলাকায় ১০টিরও বেশি লেপ-তোষকের কারখানা ও দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি কারখানা ও দোকানে। প্রতিদিন একটি কারখানায় আট থেকে ১০টি লেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান কারিগররা।

পৌর শহরের পুরাতন বাজারের ভাই ভাই বেডিং হাউজের মালিক মুক্তার হোসেন জানান, লেপ ও তোষকে বহু ধরনের তুলা ব্যবহার করা হয়। এর দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। লেপের জন্য যেসব তুলা ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে কার্পাস তুলার কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, ফোম তুলা ১৫০ টাকা, ফাইবার তুলা ২৫০টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি এবং তোষকের জন্য ব্লেজার (গার্মেন্টস) তুলা ৪০ ও উল ৩৫ টাকা।

মুক্তার হোসেন জানান, এখন অনেকটা শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরির অনেক চাহিদা আসছে। অনেকেই তাদের পছন্দের লেপ-তোষক তৈরি ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার তিনজন শ্রমিকের সঙ্গে নিজেকেও কাজে সাহায্য করতে হচ্ছে। এ সময়ে তাড়াতাড়ি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দিতে হয়। এবার ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরি করে বিক্রি করছি।

লেপ তৈরি করতে আসা দলগাছা গ্রামের আলিমুল ইসলাম জানান, শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে নতুন লেপ তৈরি করে নিচ্ছি।

কারিগররা জানান, শীত পড়তে থাকায় এখন কাজ বেড়েছে। একটি লেপে ২০০ টাকা মুজরি নিয়ে তারা পান ১৪০ টাকা, বাকি টাকা মালিকরা নেন। বর্তমানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যে দাম, তাতে এ মজুরিতে তাদের পোষায় না। মজুরি বাড়ালে তাদের জন্য ভালো হতো। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ আরও বাড়বে বলেও জানান তারা।

(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :