অভিবাসীদের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নেয়ার আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:০৭

করোনা মহামারির কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা অভিবাসীদের সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারিকালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে প্রদত্ত উদ্বোধনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এমন আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, অবশ্যই অভিবাসী ও তাদের পরিবারবর্গকে বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হব।

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকায় সবার সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নাজুক পরিস্থিতিতে পতিত অভিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা, ওষুধ ও সরঞ্জামাদির সহজলভ্যতা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহবান জানান।

সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসমূহের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন (আইএফআরসি), আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগাল ও মরক্কো মিশন এবং ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপ।

বিশ্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নাজুক পরিস্থিতির শিকার অভিবাসীদের সেবাপ্রদান ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিও অনুরোধ জানান বাংলাদেশি দূত।

করোনা মহামারির কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গত জুন মাসে গৃহীত ‘অভিবাসীদের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ। যা ১০৩টি দেশের সমর্থন অর্জন করে। বিবৃতিটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নীতি এবং পরিকল্পনায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্য চাহিদার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

করোনা মহামারি মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অভিবাসী এবং বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে প্রদত্ত বক্তব্যে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

অভিবাসনের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবান অভিবাসীই কর্মক্ষম অভিবাসী।’ তিনি আইওএম, আইএফআরসি ও ডব্লিউএইচও-কে এ বিষয়ক উত্তম অনুশীলন ও নীতিসমূহ পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করার আহ্বান জানান। সর্বত্র অভিবাসীদের অধিকার, কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতা মোকাবিলার জন্য সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার আহ্বানও জানান।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :