মামলা তুলে না নেওয়ায় হামলা, পরের অভিযোগ নেয়নি পুলিশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:১৩

ঝালকাঠির রাজাপুরের রোলা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মামলা তুলে না নেওয়ায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম শাহ আলমকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ। এই ঘটনায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা না নেওয়ায় হামলাকারীদের ভয়ে দিন কাটছে তার পরিবারের। রবিবার রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ইমাম শাহ আলমের স্ত্রী আমিনা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে আমিনা বেগম লিখিত বক্তেব্য বলেন, উপজেলার রোলা গ্রামের ১০ নং জেএল, ৮৯ ও ৯০ নং বিএস খতিয়ানের বিএস ৯৩৮, ৯৩৯, ৯৪০, ১০১২, ১০১৩ নং দাগের কবলা সূত্রে দলিল মূলে আমি ২৪ শতাংশ জমির মালিক। অথচ একই গ্রামের মৃত রশিদ হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী হাওলাদার, ইউসুফের স্ত্রী শিউলি বেগম, ইউসুফের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার ও মেয়ে ইরানী বেগম অবৈধভাবে বারবার ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আমার ঘর ও গোয়াল ঘরের উপর হামলা করলে আমি আদালতে মামলা করি। মামলায় আমরা রায় পাই। প্রতিপক্ষরা রায়ের বিপক্ষে আপিল করেন। এর মধ্যে প্রতিপক্ষরা ওই জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে আমি আদালত থেকে ওই জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাই। সেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর ওই জমিতে আমার গোয়াল ঘরের পাশ থেকে গোবর সার আনতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার স্বামী শাহ আলমকে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাকে রক্ষার জন্য মেয়ে সাজিদা বেগম গেলে তাকেও কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি এ সময় সাজিদার শিশু কন্যা তাশনুবা জামান রাইশাকেও পিটিয়ে আহত করে। আহত তিনজনই রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি। বর্তমানে প্রতিপক্ষরা আদালতের মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে এখন তারা বাড়ি ছাড়া। তাদের ভয়ে পরিবারের লোকজন আতংকিত। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বারবার হামলা করে আসছে। বর্তমানে আমার স্বামী, মেয়ে ও নাতনী আহত হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি থাকলেও থানা পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এই অবস্থায় তিনি প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযুক্ত ইউসুফ আলী হাওলাদারের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তার মতামত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে একটি জিডি রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সার্টিফিকেট পেলে সে অনুযায়ী মামলা নেওয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/১৩ ডিসেম্বর/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :