শিবগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৫৮ | প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৪২

ধর্ষণ চেষ্টার শিকার নারীকে খারাপ চরিত্রের নারী হিসেবে আদালতে চালান দেয়ায় বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিজ্জামান ও এসআই রতন কুমারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার নারীর মা ছাবিনা বেগম। রবিবার তিনি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রামের বাসিন্দা। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে একজন ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার কন্যা বিবাহিত। স্বামীর সঙ্গে তার কন্যা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছিল। এমন সময় সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমন তার কন্যাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ২৪ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় তার কন্যার স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করে রিমন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার কন্যার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে রিমনকে আটক করে। পরে পুলিশে খবর দিলে এসআই রতন কুমার ধর্ষণচেষ্টাকারী রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা গ্রহণ করা হবে- এমন কথা বলে রিমন এবং তার কন্যাকে শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। এরপর ওই দিন বিকাল ৪টায় থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান অভিযোগকারী ছাবিনা বেগমসহ উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার কন্যাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তাকে গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে এসআই রতন তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখেন। সে সময় ধর্ষণচেষ্টাকারী রিমনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডের কথা বললে এসআই রতন কুমার রায় ও অফিসার ইনচার্জ বদিউজ্জামান তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে রিমনের পক্ষ নেন। এরপর তার কন্যাকে খারাপ চরিত্রের নারী দেখিয়ে জনবিরুক্তিকর অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত বলে ২৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে রেখে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগারীর কন্যাকে চালান দেয়। পরে আদালত দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেন।

বাদীর অভিযোগ এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেয়ার পরেও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে তাদের সম্মান নষ্ট করেছেন। এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

বাদীর আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারন আইনের ১৩ ও১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে জানতে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই ছেলে এবং মেয়েকে স্থানীয় লোকজন অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেয়। এরপর আমরা ২৯০ ধারায় তাদের আদালতে চালান দিই। পরবর্তীতে তারা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাও করেছেন। আজকে শুনছি, আমার এবং এসআইয়ের বিরুদ্ধে নাকি মামলা করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :