‘আলেমদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাস্কর্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন’

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার সভাপতি, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেছেন, ‘ভাস্কর্য এবং মূর্তি একই জিনিস। ইসলামি শরিয়ত এগুলোর অনুমোদন করে না। দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ এ বিষয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শীর্ষ আলেমদের সাথে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

মঙ্গলবার গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় দক্ষিণবঙ্গের আট শতাধিক মাদ্রাসার মুহতামিম-প্রতিনিধি, ইমাম-খতিবদের এক আলোচনা সভায় সাভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘দেশের আলেম-উলামা দেশের সংবিধান এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হোক এটা কখনোই আমরা চাই না কিন্তু দেশের কিছু নাম-বেনামের ভুইফোঁড় সংগঠন অদৃশ্য কারো উস্কানিতে দেশের আলেম-উলামাদের শানে বেয়াদবিমূলক আচরণ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করছে। অনতিবিলম্বে তাদের এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।’

সভায় মুফতি উসামা আমীন বলেন, ‘ভাস্কার্যসহ সকল শরিয়তবিরোধী বিষয়ে দেশের আলেম-উলামা ঐক্যবদ্ধ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আমরা দেশের মানুষকে সচেতন করি। দেশের শীর্ষ আলেম-উলামা ভাস্কর্যের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা দক্ষিণবঙ্গের আলেম-উলাম সেভাবে কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আলোচনা এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক সাথে চলবে।’

সভায় বক্তারা বলেন, ওয়াজ মাহফিলগুলো দেশের সাধারণ মানুষের ঈমান-আমল শেখার অন্যতম উপাদান। দেশের হাট-বাজার, মার্কেট-শপিংমলসহ রাজনৈতিক সভা সমাবেশ চললেও অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় প্রশাসন ওয়াজ মাহফিলগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে যা দেশ এবং জনসাধারণের জন্য কল্যাণকর না। বক্তারা অনতিবিলম্বে ওয়াজ মাহফিল থেকে বিধি-নিষেধ উঠিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

মুফতি মোহাম্মাদ তাসনীম ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, ফরিদপুরের বাহিরদিয়া মাদ্রাসার মাওলানা আকরাম আলী, সাতক্ষীরার মাওলানা অজিউর রহমান, রাজৈর মাদারীপুরের মুফতি রেজাউল ইসলাম, গোপালগঞ্জের মুফতি মুঈনুদ্দিন, মুফতি হাফিজুর রহমান, ঢাকার মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ, বাগেরহাটের মাওলানা আশিকুর রহমান, খুলনার মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা কাবিরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা মুদ্দাসসির প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/জেবি)