২৪ ঘণ্টায় যৌন হয়রানি মামলার অভিযোগপত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গত ৯ ডিসেম্বর এক স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় ও উত্ত্যক্ত করার সময় মো. মাসুদ মিয়া নামে এক যুবককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পরদিন অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেছিলেন। অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়ার ঘটনা জেলাতে এটিই প্রথম।

৯ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর এলাকার ফুলতলি নামকস্থানে মাসুদ ওই স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। ওই স্কুলছাত্রীকে মাসুদ প্রাইভেট পড়াতেন। এখন তিনি প্রাইভেট পড়ছে না বলে প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করা হতো। তাদের বাড়ি পাশাপাশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সে তার খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় মাসুদ এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে তিনি স্কুলছাত্রীকে থাপ্পড় মারেন। স্কুলছাত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন মাসুদকে আটক করেন। বিষয়টি স্কুলছাত্রীর বাবাকে জানানো হলে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ এসে মাসুদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাসুদ প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। তিনি ‘ভালো মানুষ নয়’ বলেও এলাকায় জনশ্রুতি আছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়। তদন্তে মাসুদের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় এসআই মিজানুর রহমানকে। প্রথম দিন থেকেই তিনি তদন্ত কাজ শুরু করেন। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ায় তদন্ত কাজ সহজ হয়। সাক্ষীদের কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়ে পরদিনই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দেয়া হয়। বলা যায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা অভিযোগপত্র দিতে সক্ষম হয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/কেএম)