ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমবারের মতো খেজুর গুড় তৈরি, লাভবান গাছিরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:২৭ | প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:২১

ঠাকুরগাঁওয়ে চিনিকলের একটি খেজুর বাগানের রসে প্রথমবারের মতো গুড় তৈরি শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি এসব গুড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন গাছিরা। তবে গুড়ের চাহিদা বেশি হওয়ায় রস সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা। গুড় কিনতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত ক্রেতা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বোচাপুকুর মোহন ইক্ষু খামারের পার্শ্বে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের একটি খেজুর বাগান রয়েছে। দীর্ঘদিন পর চিনিকল কর্তৃপক্ষ বাগানটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিজ দেয় এবার। রাজশাহীর সাতজন গাছি ২২ হাজার টাকায় এবার বাগানটি প্রথমবারের মতো লিজ নেয়। লিজ নিয়েই তারা খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি শুরু করে। গাছের পরিচর্যাসহ রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। বাগানে মোট ৬০০ খেজুর গাছের মধ্যে প্রতিদিন ৪০০ গাছ থেকে গড়ে ৫০০ লিটার রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে গড়ে ৮০ কেজি করে গুড় তৈরি হচ্ছে। গুড় ও রস বিক্রি করে গাছিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

গাছি সুজন আলী জানান, ‘প্রাকৃতিকভাবে ও নির্ভেজাল গুড় তৈরি করায় এখানকার গুড় ও রসের চাহিদা অনেক। এখানকার উৎপাদিত গুড় বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না। ক্রেতারা এখান থেকে রস ও গুড় কিনে নিয়ে যায়। তবে অনেকে এক সপ্তাহ আগেই রস ও গুড় নেওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখলেও আমরা তাদের রস ও গুড় দিতে পারছি না।’

তিনি জানান, বর্তমানে এখানে এক লিটার খেজুর রস ৫০ টাকা দরে ও এক কেজি গুড় ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে আসা হুসাইন আহম্মদ নামে একজন ক্রেতা জানান, সকাল ৭টায় এসেও তিনি রস ও গুড় কিনতে পারেননি। তিনি আসার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে। তার মতো অনেকেই গুড় কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন খালি হাতে।

পঞ্চগড় জেলা থেকে আগত একদল তরুণ জানান, পঞ্চগড় থেকে ভোর ৬টায় বাইক নিয়ে রওনা দেন তারা খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। এখানে এসে খুব কষ্টসাধ্যে দুই হাড়ি রস ৭০০ টাকায় কিনে খান। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী রস খেতে না পারলেও বাগানের পরিবেশ দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন।

বাগানে খেজুরের রস ও গুড় কিনতে আসা রাইমা আকতারসহ কয়েকজন জানান, প্রাকৃতিকভাবে ও ভেজাল মুক্ত হওয়ায় এখানকার রস ও গুড় অনেক সু-স্বাদু।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুরের রস হচ্ছে না। ভবিষ্যতে যাতে চাহিদা অনুযায়ী রস ও গুড় উৎপাদন করা যায় এবং গাছ পরিচর্যা ও গাছিদের সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে সুগার মিল কর্তৃপক্ষ, খেজুর বাগান মালিক ও কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাগানের পরিচর্যা করা হলে আগামীতে খেজুর রসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :