নারীর প্রলোভনে হত্যার দেড় বছর পর রহস্য উৎঘাটন
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে গহীণ অরণ্যে নিয়ে চালককে হত্যার পর ইজিবাইক (টমটম) ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের হাতে আটক তিনজন।
সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত শনি ও রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামিরা হলো জেলার মাধবপুর উপজেলার খড়কি গ্রামের রোকন মিয়া(৩০), একই উপজেলার বেজুড়া গ্রামের মুসলিম মিয়া(২৭) ও বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ার সোহেল মিয়া(৪০)। নিহত ইজিবাইক চালক আলমগীর মিয়া মাধবপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে একটি টিলা থেকে শরীরের ৯০ শতাংশ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের ছয় মাস পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি নিহত আলমগীরের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।
এরপর তার মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত ১৮ ডিসেম্বর চুনারুঘাট থেকে মুসলিম ও ২০ ডিসেম্বর বানিয়াচং উপজেলা থেকে রোকন এবং সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিকভাবে নিজেরদের দোষ স্বীকার করেন।
আদালতের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন ঘাতকেরা ইজিবাইকচালক আলমগীরকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যান। সেখানে একটি দোকানে আলমগীরকে ঝালমুড়ি খাওয়ায়। এরপর উদ্যানের ভেতরে একটি টিলায় নিয়ে তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তারা আলমগীরের ইজিবাইকটি নিয়ে যায় বানিয়াচং উপজেলায়। সেখানে অন্য একজনের কাছে ইজিবাইকটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে তারা ভাগবাটোয়ার করে নেন।
(ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/কেএম)