পাবনার সুজানগর পৌরসভা নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৫৬

গেজেটে প্রকাশিত বর্ধিত শহর এলাকার ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করে পাবনার সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এজন্য নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেছেন। গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেয়া হয়।

পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর সিদ্দিকুর রহমান এবং একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর মোখছেদ আলীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্বেও গত ২০ ডিসেম্বর আগের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র গ্রহণ করায় সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারকে মঙ্গলবার লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বাদীর আইনজীবী।

রিটের বাদী বলেন, ১৯৯৮ সালে সুজানগর পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালে সাবেক সুজানগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মথুরাপুর, নারায়ণপুর ও কৃঞ্চপুর গ্রাম অজ্ঞাত কারণে পৌরসভা থেকে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সুজানগর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেয়র এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে ওই তিন এলাকার জনসাধরণ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেন। এরপর ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল ওহাব পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর আবারো ওই তিন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ তিন এলাকাকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল এবং একই বছরের ৬ আগস্ট উল্লেখিত তিন এলাকা সুজানগর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে আমরা পৌরসভার সব সুযোগ সুবিধাও ভোগ করছি। কিন্তু পৌরসভার বর্ধিত নতুন শহর এলাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করেই নির্বাচন কমিশন আগামী ১৬ জানুয়ারি-২০২১ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

চূড়ান্ত সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচনের দাবিতে ইতোমধ্যে এলাকাবাসী কয়েক দফা মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এমতবস্থায় বাদীর আরজি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ক্যাবিনেট ডিভিশনের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পাবনার জেলা প্রশাসক, সুজানগর পৌরসভার মেয়র, সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব, সহকারী সচিব এবং সুজানগর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেন।

এদিকে আগের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে ২০ ডিসেম্বর ২ জন মেয়র এবং ৪৬ জন কাউন্সলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্বেও প্রার্থীরদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করায় সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার রওশন আলীকে মঙ্গলবার লিগ্যাল নোটিশ দেন বাদীর আইনজীবী।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোর্টের কপি আজ পেয়েছি।

অন্যদিকে বাদী অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের আদেশের পরপরই আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে আদেশের কপি দেয়া হয় এবং এর রশিদ সংরক্ষিত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :