ছুটির দিনে পদ্মাসেতু দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:২৭ | প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:১৮

সব স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দুই সপ্তাহ আগে দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি একনজর দেখার জন্য শুক্রবার ছুটির দিনে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ে ঢল নামে পদ্মার দুই পাড়।

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে শীত উপেক্ষা করে দুপুর থেকেই মানুষের ভিড় দেখা যায়। পদ্মাসেতুর পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে অনেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সেতুর নিচে ও আশপাশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন দর্শনার্থীরা। স্বপ্নের সেতুটি দেখতে দূরদুরান্ত থেকে কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে পরিবার নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন পদ্মাপাড়ে। দর্শনার্থীদের ঢলে পদ্মার দুই পাড়ে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।

নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মাসেতু পুরো দৃশ্যমান হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। সেদিন ৪১ নম্বর স্প্যান খুঁটিতে বসানোর মধ্যদিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু খরস্রোতা পদ্মা নদীকে জয় করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যায় স্বপ্নের সেতু। এ নিয়ে পদ্মার দুই প্রান্তসহ আনন্দিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

শুক্রবার ছুটির দিনে দূরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে পদ্মাসেতু দেখতে ছুটে আসেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছিল মানুষের কোলাহল। স্মৃতির অ্যালবামে সংরক্ষণে রাখতে ছবি তুলেছেন মোবাইল ক্যামেরায় নানা ভঙ্গিতে। আবার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে দেন স্ট্যাটাস। বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে অনেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

পদ্মাসেতু ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস, আনন্দ ও সেতুর কাছে যাওয়ার চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। তবে নিরাপত্তার কারণে প্রকল্প এলাকার ভেতর কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ায় অনেকে দূর থেকে পদ্মা সেতু দেখছেন, ছবি তুলছেন। সেতুকে দৃশ্যপটে রেখে ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখছেন অনেকে।

শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে পদ্মা সেতু প্রত্যক্ষ করেছিলেন সরকারি চাকরিজীবী আরিফ জামান। নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পারা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। এমন একটি অবকাঠামো বিজয়ের মাসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। স্মৃতিতে এটা থাকবে না, তা কি হয়? কয়েকদিন ধরেই আসতে চাচ্ছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আসা সম্ভব হয়নি। সুযোগ পেয়ে আজ ছুটে এসেছি। সেতুর কাছে যেতে না পারলেও পেছনে সেতু রেখে ছবি তুলেই আপাতত খুশি।

পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত। তার কাছেই শিমুলিয়া ফেরিঘাট। আর দক্ষিণ প্রান্তে শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির ঘাট ও শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট। এ নৌপথ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হতে থাকে। তারপর দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুটি দৃশ্যমান হয় ১০ ডিসেম্বর।

ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :